সদ্য ধূপগুড়ি বিধানসভার উপনির্বাচনে বাম–কংগ্রেস জোটের সিপিএম প্রার্থীর জামানত জব্দ হয়েছে। তাতে অনেকে ধরে নিয়েছিলেন লাল ফিকে হয়েই চলেছে। কিন্তু আজ, রবিবার সমবায় সমিতির নির্বাচনে তেহট্টে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল সিপিএম। আর বুঝিয়ে দিল লা🌜ল ফিকে হয়নি। বরং বাড়ছে। তেহট্ট–১ ব্লকের মৃগী কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির নির্বাচনে ব্যাপক জয় পেল সিপিএম। কারণ এখানে একটা আসনেও প্রার্থী দিতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যরা প্রার্থী দিলেও জিততে পারেনি। তেহট্ট–১ ব্লকের সমবায় নির্বাচনে প্রায় সবকটি আসনেই জয়ী বাম শিবির।
এদিকে তেহট্ট–১ ব্লকের ছিটকা পঞ্চায়েতের মৃগী কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতিতে ৬২টি আসন। আর এখানে ভোটার সংখ্যা ১৬০৮ জন। ১৮টি আসনে আগেই সিপিএম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়। বাকি ছিল ৪৪টি আসনে নির্বাচন। এখানে সিপিএম ও বিজেপির মধ্যে নির্বাচনী লড়াই হয়। সেখানে বিশাল ব্য𒆙বধানে জয় পায় সিপিএম। সমবায় নির্বাচনে রবিবার ফলাফল প্রকাশ হতে দেখা যায় ৬২টি আসনের মধ্যে বামশিবির ৫০টি আসন এবং বিজেপি ১২টি আসনে জয়ী হয়। সুতরাং একেবারেই দাঁড়াতে পারেনি বিজেপি। খড়কুটোর মতো উড়ে যায় বামেদের সামনে।
অন্যদিকে এই সমবায় নির্বাচনে একটা আসনেও প্রার্থী দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। তারা প্রার্থী দিলে বিজেপির আসন সংখ্যা কোথায় পৌঁছত তা বলা মুশকিল। তবে বিজেপি সব জায়গা থেকে প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে এটা আবার প্রমাণিত হল। তেহট্টের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাপস সাহা এই 🍎বিষয়ে বলেন, ‘প্রার্থী দেওয়া হয়নি বিষয়টা সেরকম নয়। আসলে সমবায়গুলিতে সিপিএম তাঁদের নিজেদের আত্মীয়স্বজনদের ভোটার করে রেখেছে। তাই সেখা🉐নে আমাদের প্রার্থী দেওয়া না দেওয়া সমান। তাছাড়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে ছিটকা গ্রাম পঞ্চায়েতে আমাদের ফল ভাল হয়নি।’
আরও পড়ুন: বার্♔সেলোনায় পৌঁছলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যাত্রা করলেন একেবারে সাধারণভাবে
আর কী জানা যাচ্ছে? এই পরাজয়ের পর অজুহাত খাঁড়া করেছে বিজেপি। নদিয়া জেলা উত্তর বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, ‘সমবায়ে সব ভোটার সিপিএমের ছিল। সেখানে আমরা ৪৪টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছি। মানুষ ধীরে ধীরে আমাদের উপর ভরসা করছে সেটা এই সমবায় নির্বাচন থেকে বোঝা যাচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও ফᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚল ভাল হবে।’ কিন্তু সিপিএমের তেহট্ট উত্তর এরিয়া কমিটির সম্পাদক মানস মণ্ডলের কথায়, ‘এই সমবায়ে মানুষ বাম প্রগতিশীল প্রার্থীদের জয়ী করেছেন। সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে ভোটাররা পরাস্ত করেছেন।’