পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার তার পর মহিষাদল। সমবায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাম-বিজেপি জোটে রীতিমতো অস্তত্বিতে পড়েছিল সিপিএম। যদিও মহিষাদলে জোট হয়েছিল সিপিআই-এর সঙ্গে বিজেপির। তা সত্বেও কটাক্ষ শুনতে হয়েছিল সিপিএমকেও। তাই নিচুতলায় বাম-বিজেপি জোট ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ নিল সিপিএম। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সমবায় ভোটে লড়ার অভিযোগে দশ নেতাকে বহিষ্কার করল জেলা সিপিএম।যদিও সমবায় নির্বাচনে দু'পক্ষই দলীয় ভাবে সরাসরি জোট করেনি। নিচুতলার কর্মীরা একটি যৌথমঞ্চ তৈরি করে শাসকদলের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। নন্দকুমারের বহরমপুরের সমবায় ভোটে বাম-বিজেপি জোট কাছে ধারশায়ী হয় তৃণমূল।তার পরই চর্চা শুরু হয়, এই জোট কী পঞ্চায়েত নির্বাচনেও অব্যাহত থাকবে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বও এই ধরনের চর্চায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে। ধাক্কা খায় বিজেপি-তৃণমূলের সঙ্গে সমদূরত্ব বজায় রাখা নীতি। তার পরিস্থিতি সামল দিতে কড়া পদক্ষেপ নিল দল। জেলা নেতৃত্ব দশ জনকে বহিষ্কারের পাশাপাশি এও জানিয়েছে, আগামী দিনে আরও কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তদন্ত কমিশন গড়া হয়েছে।দু’জন এরিয়া কমিটির সদস্যকে শো-কজ়ও করা হবে বলে সিপিএম সূত্রের খবর।সিপিএম জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি জানিয়েছে, দলীয় গঠনতন্ত্রের ১৯১৩ ধারা অনুযায়ী জোটে সামিল দলীয় সদস্যদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের নামের তালিকা প্রকাশ করে লিফলেটও ছড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।