সুজন চক্রবর্তীর পর এবার সামনে এল সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষের নাম। অভিযোগ একই, বাম আমলে ‘চিরকুটে’ চাকরি। আর এই ঘটনা নিয়ে আরও একবার তোলপাড় রাজ্য–রাজনীতি। যদিও এই চিরকূটে চাকরির বিষয়টি অজা🅺না বলে জানিয়েছেন অশীতিপর বাম নেতা বিমান বসু। আর অভিযোগ উঠেছে, নিজের পরিবার ও আত্মীয়দের অনেককেই ‘সুপারিশে’র জোরে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন সুশান্ত ঘোষ। তিনি বাম জমানায় পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী ছিলেন। চাকরি প্রাপকদের এমনই একটি তালিকাও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তালিকায় সুশান্ত ঘোষের এমন ২০জন নিকট আত্মীয়ের নাম রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঠিক কী অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের? সুশান্ত ঘোষের আত্মীয়স্বজনরা বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরি করেন ব🧔া করতেন বলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কো–অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, ‘এতদিন চুপ ছিলাম। কিন্তু সিপিএম নেতারা ইদানীং বড্ড লাফালাফি করছে। লাল পতাকার তলায় লুকিয়ে সিপিএম যে কত দুর্নীতি করেছে সেটা বোধহয় দলের নেতারা ভুলে গিয়েছেন। আমি শিক্ষামন্ত💃্রীকে ঘটনার সঠিক তদন্তের জন্য আবেদন জানাব। কেমন করে চাকরি হয়েছে সেটা জনগণের জানা প্রয়োজন।’
আর কী জানা যাচ্ছে? সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ বাম জমানায় দীর্ঘদিনের মন্ত্রী ছিলেন। বিরোধীরা তখ♕ন বলতেন, ঝড় হলেও সুশান্ত ঘোꦑষের নির্দেশ ছাড়া গড়বেতায় গাছের পাতা নড়ে না। এমনই ছিল তাঁর প্রভাব। আর সুশান্ত ঘোষ বাম আমলে প্রভাব খাটিয়ে নিকট আত্মীয়দের চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভাইরাল হওয়া ওই তালিকায় দাবি করা হয়েছে, সিপিএম আমলে স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছিলেন সুশান্ত ঘোষের স্ত্রী। তাঁর বোনেদের মধ্যে অনেকেই সরকারি চাকরি করতেন। এমনকী প্রভাব খাটিয়ে বোনেদের স্বামীদেরও চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এক বোনের স্বামী মেদিনীপুর প্রাইমারি বোর্ডে চাকরি করেন। আর এক বোনের স্বা🃏মী প্রাইমারি স্কুলে এবং এক ভগ্নিপতি সেচ দফতরে চাকরি করেন।