সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে বেশ কয়েকটি সমবায় নির্বাচনে জয়ের স্বাদ পেয়েছে সিপিএম। এবার সেই ধারা অব্যাহত রইল তেহট্টে। নদিয়ার তেহট্টের সমবায় সমিতির নির্বাচনে একচ্ছত্র জয় পেল সিপিএম। আজ, রবিবার পলাশিপাড়ার ধোপট্ট সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনের ফল ঘোষণা হতেই দেখা যায়, সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন। এই ফলাফলে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ সমবায় নির্বাচনে🥃 জয়ের কথা এবার প্রচারে নামিয়ে আনবেন লালপার্টির নেতারা। তাতে 💫প্রভাব পড়তে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচনে।
এদিকে এই সমবায় নির্বাচনে সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীরা জিতেছেন ৪৯টি আসনে। যা অভাবনীয় সাফল্য। বিধানসভায় যারা শূন্য তারাই এবার খেলা ঘুরিয়ে দিচ্ছে। পূরဣ্ব মেদিনীপুরেও রাম–বাম জোট করে বহু সমবায় নির্বাচনে জিতেছে সিপিএম। সেখানে এবার তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা ২০টি আসনে জয়লাভ করেছে। সমবায় নির্বাচনে জিতে বামেদের দাবি, এই ফলাফল তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি এবং অপশাসনের বিরুদ্ধে মানুষের রায়। পাল্টা তৃণমূল 🌺কংগ্রেসের দাবি, বাম আমল থেকে কায়দা করে সমবায় সমিতিগুলি দখল করে রেখেছে সিপিএম।
ঠিক কী বলছে তৃণমূল? এই সমবায় নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ১,৭৩৪ জন। এবার সিপিএম এবং তৃণমূলের মধ্যে দ্বিমুখী লড়া🤪ই ছিল এই সমবায় সমিতিতে। বিজেপি এখানে একটি আসনেও প্রার্থী দিতে পারেনি। ফলে তাদের জয়–পরাজয়ের বিষয়ও নেই। এই সমবায় নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে তৃণমূল কংগ্র🏅েসের ব্লক সভাপতি বিশ্বরূপ রায় বলেন, ‘বিজেপি–সিপিএম জোট বেঁধেই লড়েছে। এই ফল পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও প্রভাব ফেলবে না।’ এখন অবশ্য তৃণমূলে নব জোয়ার কর্মসূচি নিয়ে প্রতিটি জেলায় যেতে শুরু করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসংযোগের মাধ্যমেই সংগঠন তিনি মজবুত করছেন। তাই এই কটা সমবায় নির্বাচন সিপিএম জিতল তাতে আমল দিতে নারাজ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
ঠিক কী বলছে সিপিএম? তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন ওসিপিএম নেতৃত্ব। এখানে সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুবোধ বিশ্বাস বলেন, ‘এই জয় সাধারণ মানুষের জয়। দুর্নীতি ও অপশাসনের বিরুদ্ধে মানুষের মতামত। এই জয় পঞ্চায়েতের পূর্বাভাস।’ আসলে সম্প্রতি তেহট্টের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাপস সাহাকে নিয়ে সিবিআই টানাটানি করছে। যদিও গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে তা সাধারণ মানুষের মনে একটা প্র♔ভাব ফেলছে। তাই সিপিএম জিতেছে বলে মনে করেন নেতারা।