প্রকৃত তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য কারা? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে❀ বাঁকুড়া জেলার মেজিয়ায়। কারণ সেখানে প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, একুশের নির্বাচন পর্ব মিটতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাঁকুড়ার মাটি। প্রকাশ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষ বলেই অভিযোগ উঠেছে। এখন মেজিয়ার মোহনা গ্রামে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠী। এমনকী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আক্রান্ত হন পুলিশ কর্তারা। ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশের গাড়িতেও। আক্রান্ত হন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মনিরুল খান। এই ঘটনায় ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
এই মনিরুল খানের অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে মোহনারই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আনিসুল খানের বিবাদ বহু দিনের। আগেও একাধিকবার হামলা হয়েছে। এদিন গ্রামে ফেরার পর আনিসুল খানের লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়ি෴তে হামলা চালায়। এমনকী বাড়ি ভাঙচুর করে। বাধা দিতে গেলে পরিবারের সদস্যদের ব্যাপক মারধর করা হয়। ঘটনায় দু’পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
মনিরুলের আরও অভ𒁏িযোগ, আগেও🔯 তাঁর পরিবারের উপর নেমে এসেছে আনিসুল গোষ্ঠীর আক্রমণ। এদিন, কাঁদতে কাঁদতে আক্রান্ত নেতা বলেন, ‘আমি ও আমার স্ত্রী দুজনেই তৃণমূল কংগ্রেস করি। আমার স্ত্রী গ্রামের প়ঞ্চায়েতের সদস্যা। আনিসুল মুখে বলে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক। কিন্ত আসলে ও সিপিআইএম করে। আজকে আমায় আর আমার স্ত্রীকে মারধর করেছে। কাগজপত্র কেড়ে নিয়েছে। বাগান জ্বালিয়ে দিয়েছি। আগে আমায় মেরে গ্রামছাড়া করেছিল। আজ ওর সাঙ্গপাঙ্গরা বন্দুক নিয়ে এসে চড়াও হয়। আমায় প্রাণে মেরে দিত। হাতে পায়ে ধরে বেঁচেছি। পুলিশকে বলেও কোনও লাভ হয়নি। কারণ আনিসুল পুলিশের স্পাই হয়ে কাজ করে।’ পাল্টা আনিসুল গোষ্ঠীর দাবি, তাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। মনিরুল আনিসুলকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন।
পুলিশ সূত্র🍰ে খবর, এই হামলার খবর পেয়ে মোহনা গ্রামে যান পুলিশকর্তারা। তখন আনিসুলের অনুগামীরা পুলিশের উপর অতর্কিতে🦂 হামলা করে। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। আক্রান্ত মনিরুলকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরও খোঁজ করা হচ্ছে। গ্রামে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘এটা দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়। আমরা এখানে প্রায় ৯০০ ভোটে জিতেছি। আমাদের কর্মীদের উপর সিপিআইএমের কর্মীর꧑া আক্রমণ করেছে। আনিসুল খান সিপিআইএমের কর্মী।’ স্থানীয় বিজেপি নেতা তথা সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের এই রোগ অনেকꦯদিনের। নির্বাচনের পর সবে তো শুরু। আরও অনেক কিছু হবে।’