জলে ছিল। এবার ডাঙায় তাকে দেখা গেল। এই দু’জায়গায় তার উপস্থিতি নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। মাঠে নামতে হয়েছে বন দফতরকে। তোলপাড় করা পরিস্থিতি নিয়ে কাজ নেমে পড়েন বন দ🍎ফতরের কর্মীরা। তারপর অবশেষে তাকে ধরে নিয়ে যায় তাঁরা। ঝোপের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসেছিল। সেই অবস্থায় তাকে দেখতে পান বাসন্তীর গ্রামবাসীরা। আর তা দেখে ঘামতে ঘামতে আতঙ্কে ফোন করেন তাঁরা বন দফতরে। ওই বিশাল এꦐক কুমির দেখে এমন পরিস্থিতিই তৈরি হয়েছিল গ্রামের বাসিন্দাদের। সেই দৃশ্য এখনও ভুলতে পারছেন না গ্রামবাসীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বিশাল আকৃতির কুমির ডাঙায় শুয়ে আছে দেখতে পান কয়েকজন গ্রামবাসী। এই দৃশ্য দেখেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বাসন্তীর মসজিদবাটি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে। তাঁরাই এই গোটা ঘটনাটি ফোন করে বন দফতরে জানান। যা শুনে বন দফতরও প্রথমে চাপে পড়ে যান। যদিও পর🐻ে পরিকল্পনা করে কুমির ধরে নিয়ে যান বন দফতরের কর্মীরা। কুমির ধরে নিয়ে গেলেও সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে তার ১৭টি ডিম। বন দফতর সূত্রে খবর, ডিম পাড়তে মিষ্টি জলের প্রয়োজন হয়। আর সেটার খোঁজেই কুমিরটি ঢুকে পড়ে গ্রামের ডাঙায়। যা দেখে শিহরণ জেগে ওঠে গ্রামের বাসিন্দাদের শরীরে।
আরও পড়ুন: হ✤েরেও হাꦅরতে রাজি নন অধীর চৌধুরী, বহরমপুরের মাটিতে আন্দোলনের পথে একদা রবীন হুড
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের বাসিন্দারা কুমিরটিকে দেখতে পাღন। তখন থেকেই আতঙ্ক তৈরি হয় তাঁদের মধ্যে। সেটা ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। ফোন যায় বন দফতরে। পুকুর পাড়ে ঝোপের মধ্যে কুমিরটি লুকিয়ে ছিল। তবে এই খবর চাউর হতেই অনেক অতি উৎসাহী মানুষজন কুমিরটিকে দেখতে ভিড় জমান। তাতে বড় বিপদও হতে পারত। যদিꦚও তেমন কিছু ঘটেনি। তবে লোকজনের উপস্থিতি বুঝতে পেরে এলাকার বাসিন্দা মঙ্গল মণ্ডলের পুকুরে ঝাঁপ দেয় কুমিরটি। খবর পেয়ে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। দু’ঘণ্টার চেষ্টায় কুমিরকে ধরে ফেলেন বনকর্মীরা। তারপর সজনেখালিতে বন দফতরের বিট অফিসে কুমিরকে নিয়ে যাওয়া হয়। বন দফতর সূত্রে খবর, সুস্থ থাকলে ওই বিশাল কুমিরকে সুন্দরবনের কোনও নদীতে ছেড়ে দেওয়া হবে।
আজ, শুক্রবার এই ঘটনার কথা শোনা যায় মসজিদবাটি গ্রামের চায়ের দোকান থেকে রাস্তার মোড়ে। বন দফতর সূত্রে খবর, মসজিদবাটি গ্রাম সংলগ্নꦓ বিদ্যাধরী নদী থেকে ওই বিশাল আকারের কুমির গ্রামে ঢুকে পড়েছিল। ডিম পাড়তেই এই কাণ্ড ঘটায় কুমির। যাতে আত্মারাম খাঁচা হয়ে যায় গ্রামের মানুষদের। বন দফতরের কর্মীরা যখন ওই কুমিরটিকে জল থেকে তোলেন তখন অনেকে মোবাইলে ছবি তুলে নেন। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর জোন্স জাস্টিন এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বলেন, ‘জুন থেকে অগস্ট মাস পর্যন্ত কুমিরের ডিম পাড়ার সময়। তখন মিষ্টি জলের খোঁজে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে কুমিররা। এভাবেই স্ত্রী কুমিরটিও ঢুকে পড়েছিল। ১০ ফুট লম্বা কুমির। বয়স ১২ বছর। উদ্ধার হওয়া কুমিরের ডিমগুলি ফোটানোর ব্যবস্থা করা হবে।’