বিরল প্রজাতির চারটি বাঁদর উদ্ধার করল শুল্ক দফতর। যার মধ্যে একটি বাঁদরের মূল্য আনুমানিক কোটি ১০ লক্ষ টাকা। গতকাল জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির হাইওয়ে থেকে এই চারটি বাঁদর 𒆙উদ্ধার করা হয়েছে। আসাম থেকে শিলিগুড়ির♚ দিকে আসছিল একটি বাস। সেই সময় ময়নাগুড়ি চেকপোষ্টে বাস থামিয়ে তল্লাশি করতেই প্লাস্টিকের ব্যাগে খাঁচার ভিতর থেকে চারটি বিরল প্রজাতির বাঁদর বেরিয়ে আসে। এগুলি পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে প্রাথমিক অনুমান শুল্ক দফতরের।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বাঁদরগুলি মায়ানমার থেকে নেপালে পাচার করার উদ্দেশ্য ছিল। শুল্ক দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁদরগুলি যাতে কারও নজরে না আসে তার জন্য বাসের মাল রাখার জায়গায় প্লাস্টিকে মুড়ে সেগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বাসে বাঁদরের আওয়াজ পেলেও অবশ্য যাত্রীরা টের পাননি সেটা কোথা থেকে আসছে। এদিকে, বাঁদর পাচার করার খবর শুল্ক দফতরের কাছে আগেই ছিল। সেইমতোই শুল্ক দফতরের অফিসাররা মায়ানমার চেকপোষ্টে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন। মায়ানমার চেকপোষ্টে আসা মাত্রই বাস থামিয়ে তল্লাশি চালান শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা। বাসের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানোর পরে অবশেষে খাঁচা থেকে বেরিয়ে আসে কালো প্লাস্টিক দিয়ে ঢাকা তিনটি খাঁচা। বাঁদরগুলি উদ্🦩ধারের পরেই সেগুলি নিজেদের হেফাজতে নেয় শুল্ক দফতর।
জানা গিয়েছে, এই বাঁদরগুলি বিলুপ্ত প্রজা𝔉তির। শুল্ক দফতরের অনুমান এর পিছনে বড় পাচারচক্র জড়িত রয়েছে। এর আগেও ক্যামেলিয়ন প্রজাতির বাঁদর উদ্ধার হয়েছিল। এদিন উদ্ধার হওয়া বাঁদরগুলি পরে অবশ্য বনদফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি শুল্ক দফতর। কে বা কারা এই পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত তা জানার চেষ্টা করছেন শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা।