ঘূর্ণিঝড় আমফানের জেরে নোনা জল ঢুকে নষ্ট হয়ে গিয়েছে সুন্দরবনের হাজার হাজার একর চাষজমি, যা আগামী বহু বছর ধরে কৃষির জন্য অনুপযোগী হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় অধিবাসী, জনপ্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞর꧋া।
২০০৯ সালে ঘ𒁃ূর্ণিঝড় আয়লার দাপটেও একই রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। প্রায় ৪-৫ বছর ধরে চাষবাস বন্ধ থাকার ফলে অরণ্যজাত পণ্যের উপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়েন স্থানীয়দের একাংশ, যার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যাংগ্রোভ জঙ্গলের পরিবেশের 🔥উপরে। বাকি বাসিন্দারা রোজগারের খোঁজে পাড়ি দিতে বাধ্য হন ভিনরাজ্যে।
বিষয়টি নিয়ে গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের𝓀 তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জমির উর্বরতা ফিরিয়ে আনতে তিনি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেবে⛄ন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সুন্দরবনের ১০২টি দ্বীপের মধ্যে ৫২টিতে লোকবসতি রয়েছে, যেখানে ৪৫ লাখ মানুষে🌺র বাস। ⭕অন্য দ্বীপগুলি ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। এই সমস্ত দ্বীপ ঘিরে আরও ২০ লাখ মানুষ বাস করেন, যাঁদের কৃষিজমি আমফানের জেরে মাতলা, রায়মঙ্গল, বিদ্যাধরী ও মুড়িগঙ্গার নদী দিয়ে নোনা জল ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নোনাজলে নষ্ট হয়েছে খেতভরা ফসল, মারা গিয়েছে পুকুর ও ভেড়ির কয়েক কোটি টাকা মূল্যের মাছ। এর উপরে আগামী কয়েক বছর ধরে জমির উর্বরতা নষ্টের আশঙ্কায় বিপন্ন বাসিন্দাদের মধ্যে ছড়িয়েছে উদ্বেগ।
আরও পড়ুন: নদীবাঁধ ভেঙ🐲ে মুছে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের অসংখ্য গ্রাম, বিপুল ক্ষতি কৃষি ও মাছচাষে
সুন্দরবন উন্নয়ন পর্যদের যুগ্ম অধিকর্তা সুভাষ আচার্য জানিয়েছেন, ‘এর আগে আয়লার 𒁏দাপটে ব-দ্বীপের বাসিন্দাদের জীবনযাপন মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এবারও একই রকম লোকসান হবে বলে মনে করছি।’
সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমারꦏ মাহাত জানিয়েছেন, ইছামতী, বিদ্যাধরী, দাশা, মাতলা, রায়মঙ্গল ও বেতনি নদীর বাঁধ অধিকাংশই ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙে পড়েছে। অন্য দিকে যোগাযোগ ব্যবস্থা কাজ না করায় খবর মেলেনি সুন্দরবনের প্রান্তিক গ্রামগুলির।
মাতলা নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা, কুলতলি ও গোসাব🍸া ব্লকের অসংখ্য গ্রাম। মোট ১১ জায়গায় বাঁধ ভেঙেছে বিদ্যাধরীর। সন্দেশখালিতে নদীবাঁধ ধ্বংস হয়েছে ১৫ জায়গায়। বানের জলে ভেসে গিয়েছে ভেড়ির বা𒀰গদা, গলদা ও ভেটকি। ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে দাবি মিনাখাঁর প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডলের।