ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’–এর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের এই আগাম পূর্বাভাস থাকায় বিপর্যয় পরিস্থিতির মোকাবিলায় সেচ, বিদ্যুৎ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে নবান্ন। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত এই দফতরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। শক্তি হারিয়ে সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এর প্রভাবে রবিবার ৯ জেলায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে কলকাতাতেও। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে রবিবার ছুটির দিন থাকা সত্ত্বেও সেচ, বিদ্যুৎ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নবান্নে খোলা হয়েছে ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড সেন্টার। নবান্নের তরফে পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ওপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। নবান্নের পাশাপাশি জেলাতেও কমান্ড সেন্টার খোলার কথা বলা হয়েছে। সেই কমান্ড সেন্টারে সেচ, বিদ্যুৎ, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকরা রাতভর থাকবেন। পাশাপাশি কৃষি, পূর্ত, পঞ্চায়েত ও পুরসভার আধিকারিকরাও থাকবেন। তাঁরা পরস্পর সমন্বয়ের ভিত্তিতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করবেন। কন্ট্রোল রুমে বসে গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রশাসনের তরফে দিঘা, মন্দারমণি, শংকরপুরের মতো এলাকা পর্যটকশূন্য করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৪২টি রিলিফ ক্যাম্প, সেই সঙ্গে ১১৫টি সাইক্লোন সেন্টার তৈরি রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে কলকাতায় যে সব অংশে বৃষ্টিতে জল জমে সেখানে জল জমলে অতি দ্রুত জল বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুর নিগমকে।