ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ মোকাবিলায় দিঘা সমুদ্র সৈকত এলাকায় পৌঁছে গেল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল। দিঘায় পৌঁছেই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ)♈ সদস্যরা মাইকিং, সচেতনতা প্রচার শুরু করে দেয়। অন্যদিকে বিপর্যয় ম♌োকাবিলায় সচেতনতা প্রচার শুরু করেছে এগরা ১ নম্বর ব্লক প্রশাসনও।
আবহাওয়া দফত♏রের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ ওড়িশা–অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা থাকলেও এর বড় প্রভাব পড়তে পারে দিঘায়। ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগে শুক্রবার সকাল থেকেই দিঘা উপকূলবর্তী এলাকায় সচেতনতা প্রচার শুরু করে দিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এলাকার সাধারণ মানুষদের কী করতে হবে, কোন কোন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে, সে বিষয়ে সচেতন করে তুলতেই এই বিশেষ প্রচার চালানো হয়। এদিন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, কাল যেহেতু ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে, তাই এলাকার মানুষ যেন সমুদ্রের আশেপাশের এলাকায় না যান। পাশাপাশি যে সব মৎসজীবীর ম⛄াছ ধরতে গেছেন, তাঁরাও যেন ফিরে আসেন। কেউ যদি কোনও অসুবিধায় পড়েন, তাহলে যেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে জানান। তাহলে এনডিআরএফ উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়বে।
এদিকে এগরা ১ নম্বর ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকেও এলাকার মানুষদের কাছে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। এলাকায় লাগাতার মাইকিং চলছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত যে ফসল উৎপাদন হয়েছে, সেই ফসল যাতে ঘরে তোলা হয়, সেব্যাপারে সাধারণ মানুষকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি সবজি চাষ, পান চাষের ক্ষেত্রে জমিতে যাতে নালা কাটা হয়, সেই ব্যবস্থা করার কথা♏ও বলা হয়েছে যাতে জমি থেকে জল বেরিয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি এলাকায় সব রকমের ত্রাণ সামগ্রী মজুত রাখারও ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে।