মঙ্গলবার সকাল থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরে মালুম হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর দাপট। জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। উপকূলে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। দিঘায় বেড়েছে জলোচ্ছ্বাস। ইতিমধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরে ‘হলুদ’ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিকেলের পর তা ‘লাল’ সতর্কতায় পরিণত হবে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার দুপুরে পারাদ্বীপ এবং সাগরের মাঝখানে বালাসোরের কাছাকাছি স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে ‘ইয়াস’। ফলে ওড়িশা লাগোয়া পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকায় ‘ইয়াস’-এর দাপট ভালোমতোই পড়বে। মঙ্গলবার গভীর রাত এবং বুধবার সকাল থেকে ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিলোমিটারে ঝড়ের সম্ভাবনা আছে। দমকা হাওয়ার বেগ কখনও কখন ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে। সাধারণের থেকে দু'চার মিটার বেশি জলোচ্ছ্বাসেরও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যে বাড়তি তৎপর হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য সরকার। আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর একাধিক দল। নামানো হয়েছে কুইক রেসপন্স টিম। ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় চালানো হয়েছে মাইকিং। খালি করা হয়েছে দিঘা উপকূল। নীচু এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের দাবি, দিঘা থেকে খেজুরি পর্যন্ত বাঁধ মেরামতির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। খেজুরির পাথুরিয়ার কাছে ৩০০ মিটার এলাকায় বাঁধের অবস্থা তেমন ভালো নয়। তবে সেখানে বসতি নেই। তবুও যাতে জল ঢুকতে না পারে, সেজন্য বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।তারইমধ্যে মঙ্গলবার জরুরি ভিত্তিতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করবে দিঘা এবং শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। বৈঠকে রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র-সহ জেলা প্রশাসন এবং সেচ দফতরের আধিকারিকরা। থাকবেন সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়াররাও। সূত্রের খবর, যাবতীয় প্রস্তুতি হয়ে গেলেও শেষমুহূর্তে কোথাও কোনও খামতি আছে কিনা, তা পর্যালোচনা করা হবে।