ঘূর্ণিঝড় আমফানের সময় ছিলেন। এবার অপর সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলা। দূর থেকে নির্দেশ দিয়েই নয়, এবার সারারাত রাজ্যের কন্ট্রোল রুমে থেকেই গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখবেন মুখ্য𝕴মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কন🤪্ট্রোল রুমে বসে থেকেই প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন তিনি।
গত বছর শক্তিশালী আমফান ঘূর্ণিঝড় তছনছ করে দিয়েছিল রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিকে। এবার সময় হাতে থাকতেই সবরকমের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। চরম সতর্কতা জারি করা হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলিতে।এছাড়াও কলকাতার ওপরও নজর রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার থেকেই শক্তিশালী হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি।ধীরে ধীরে শক্তি বাড়িয়ে তাণ্ডব শুরু করবে এই ঘূর্ণিঝড়।বৃ্ষ্টিতে হতে পারে ক🃏লকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায়। তবে এই ঘূর্ণিঝড় কোথায় কোথায় আছড়ে পড়বে, সেটা এখনই বো💫ঝা যাচ্ছে না। সূত্রের খবর, আগামী ২৫ ও ২৬ মে যেসময়ে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে বাংলায়, সেই দুদিন কন্ট্রোল রুমেই থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নের পাশে উপান্নে তৈরি হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। সেখানেই রাতভর থাকবেন তিনি।
ইতিমধ্যে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে জোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে শনিবার দুপুর থেকেই মাইকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলাশাসক ও আধিকারিকরা। নবান্নের তরফে সাগর, কাকদ্বীপ, গোসাবা, ডায়মন্ডহারবারে তৈরি রাখা হয়েছে কুইক রেসপন্স টিম ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল। স্থানীয় প্রশাসনকে ২ লাখ জলের পাউচ প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে এমন জায়গায় ত্রিপল, সাবান, চাল, ডাল, বেবিফুড পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ২০টি স্যাটেলাইট ফোন ও ২৫টি ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে।উপকূলবর্তী এলাকায় ৩ লাখ মানুষের জন্য ১১৫টি আয়লা সেন্টার ও ২৫০টি আইসিডিএস স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।এছাড়াও হাসপাতালগুল👍ি বাড়তি বেড ও ওষুধের ব্যবস্থা করে রাখতে বলা হয়েছে।