আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডে এর আগে একাধিকবার সিবিআই তদন্তকারীদের প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূল বিধয়ক তথা আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। প্রসঙ্গত, কলকাতা মেডিক্যালেও তিনি রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ছিলেন। তবে এবার সেই সুদীপ্ত রায়কে এই দুর্নীতির অভিযোগ থেকে 'ক্লিনচিট' দিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বর্তমান অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস। (আরও পড়ুন: একের পর এক𒊎 অভিযোগ, বাংলাদেশে 'প্রথম আলো' সংবাদপত্র বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ)
আরও পড়ুন: খতিয়ে দেখা হচ্ছে নথি, আদানি ಌঘুষ কাণ্ডে এবার বড় পদক্ষেপের পথে NDA সরকার?
উল্লেখ্য, সুদীপ্ত রায় এবং তৃণমূলের কর্মচারী সংগঠনের নেতা জয়ন্ত ঘোষের বিরুদ্ধে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবরেটরিতে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। এই মর্মে গত সেপ্টেম্বরে পড়ুয়াদের সংগঠন মেডিক্যাল কলেজ স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সদস্যরা স্মারকলিপি জমা দিয়েছিলেন অধ্যক্ষের কাছে। এই আবহে অভিযোগের তদন্ত করতে কমিটি গঠন করেছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। সুদীপ্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, কলকাতা মেডিক্যালের সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি থেকে বিভিন্ন কিট বাইরের বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে 'পাচার' হচ্ছে। এছাড়াও রোগীদের শয্যা পাইয়ে দেওয়ার নামেও আর্থিক লেনদেন চলছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। (আরও পড়ুন: 🤡'💦শুধু আদানি আদানি...', ঘুষকাণ্ডে সংসদ যেন অচল না হয়, বলছে তৃণমূল)
এই আবহে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছিল হাসপতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগকারীদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল তদন্ত কমিটি। তবে এবার তদন্ত কমিটির তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, সুদীপ্ত রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনও প্রমাꦰণ পাওয়া যায়নি। যদিও রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়টি পুরোপুরি খতিয়ে দেখতে আরও কিছুটা সময় লাগবে তাদের। এই আবহে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বলেন, 'যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের তরফে জিনিসপত্রের হিসেব রাখা হয়ে থাকে। এর আগে জিনিসপত্রের হিসেবে কোনও গরমিল পাওয়া যায়নি। তাই এই সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।'
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর তৃণমূল কংগ্রেসের চিকিৎসক-বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই হানা দিয়েছিল। সিঁথিতে সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে সেদিন প্রায় তিন ঘণ্টা ছিলেন তদন্তকারীরা। তাঁর মেয়েকেও জেরা করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এ▨দিকে উত্তর কলকাতায় তাঁর নার্সিংহোমেও তল্লাশি চলেছিল এর আগে। পাশাপাশি হুগলির দাদপুরের দাঁড়পুর গ্রামে সুদীপ্ত রায়ের বাংলোতেও ইডি অভিযান চালিয়েছিল। পরে তাঁকে সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সেও ডাকা হয়। সিবিআই-ইডি ও স্টেট ভিজিল্যান্স কমিটিতে লিখিত অভিযোগও জমা পড়ে সুদীপ্ত রায়ের নামে। সেন্ট্রাল ল্যাব, কার্ডিওলিজর মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, নার্স নিয়োগে সুদীপ্ত রায় প্রভাব খাটাতেন বলে অভিযোগ করা হয়।