দিনের বেলায় জোড়াখুনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের সরিষাহাটে। প্রথমে এক দুষ্কৃতী তৃণমূল নেতাকে কুপিয়ে খুন করে। পরে এলাকাবাসীদের গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় অভিযুক্ত ওই দুষ্কৃতীর। নিহত তৃণমূল নেতার নাম নূরসালাম বেগ। অন্যদিকে, গণপিটুনিতে মৃত দুস্কৃতির নাম সাইফুদ্দিন মোল্লা। সম্পর্কে সাইফুদ্দিনের শ্যালক ছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে জমি জায়গা সংক্রান্ত বিবাদ এবং পারিবারিক গণ্ডগোলের জেরেই তৃণমূল নেতাকে খুন করা হয়েছে। পারিবারিক সূত্রে খবর, বাগদা মল্লিক পাড়ার বাসিন্দা নূর সালাম পাতরা অঞ্চলের যুব তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন। তার বোন ঝুম্পা বিবির সঙ্গে বছর ছয়েক আগে বিয়ে হয়েছিল সাইফুদ্দিনের। তাদের পাঁচ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। কিন্তু, সেই সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয়নি বিভিন্ন কারণে সাইফুদ্দিনের সঙ্গে তার বোনের বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ায় সংসার চালানোর জন্য সাইফুদ্দিনকে দেড় লক্ষ টাকা খেসারত দিতে হয়েছিল। তারপর থেকেই নূর সালামের উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন সাইফুদ্দিন।বৃহস্পতিবার সকালে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় বাইকে করে কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে নূর সালামের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে সাইফুদ্দিন। এরপরেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নূর সালাম। ঘটনায় স্থানীয়দের কয়েকজন সাইফুদ্দিনের পিছু ধাওয়া করে তাকে ধরে ফেলে বেধড়ক মারধর শুরু করে। বাইকে থাকা আরও একজন যুবক রাজা মল্লিককেও মারধর করেন উত্তেজিত জনতা। কিন্তু, ততক্ষণে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে তাকে রক্ষা করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সাইফুদ্দিনের। অন্যদিকে, রাজাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করা হয়। ঘটনায় আরও দুজনের খোঁজ করছে পুলিশ।