এখনও ‘অসচেতনতার ঢেউ’ পুরোপুরি আছড়ে পড়েনি। তাতেই ‘ধাক্কা’ লাগল জো🔴রালো। প্রায় চার মাস পরে কলকাতায় আবারও দৈনিক করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্🥃যা ২০০ ছাড়িয়ে গেল। সেইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে একলাফে বাড়ল সংক্রমণের হার।
মহাষ্টমীর সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় ২০৩ জন করোনা আক্♏রান্তের হদিশ মিলেছে। যে সংখ্যাটা প্রায় চার মাসে ২০০-র গণ্ডি ছুঁয়েছিল। অষ্টমীর আগে গত ১৯ জুন শেষবার কলকাতায় ‘ডবল সেঞ্চুরি’ করেছিল করোনার দৈনিক সংক্রমণ (২১৭)। তারপর একটা সময় ১০০-এর নীচেও নেমেছিল সেই সংখ্যাটা। কিন্তু তারপর তা আবারও বাড়তে শুরু করেছে। দুর্গাপুজোয় যেভাবে চূড়ান্ত অসচেতনতা দেখা যাচ্ছে, তাতে আশঙ্কার প্রহর গুনছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বক্তব্য, এখন তো পুজো চলছে। ফলে অসচেতনতার মাশুল কতটা গুনতে হবে, তা এখন বোঝা যাবে না। মাসখানেকের মধ্যেই বোঝা যাবে, ‘অসচেতনতার ঢেউয়ে’ কতটা বিপর্যস্ত হয়েছে রাজ্য।
এমনিতে মঙ্গলবারের তুলনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা তিন বেড়েছে। বুধবারের বুলেটিন অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মোট ৭৭১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু উদ্বেগ লুকিয়ে আছে অন্যত্র। মঙ্গলবারের থেকে বুধবার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা প্রায় ২,০০০ কমে গিয়েছে। তার ফলে সার্বিকভাবে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা না বাড়লেও লাফিয়ে বেড়েছে সংক্রমণের হার। মঙ্গলবারের বুলেไটিন অনুযায়ী, রাজ্যে সংক্রমণের হার ছিল ২.৫৬ শতাংশ। বুধবারের বুলেটিনে তা লাফিয়ে ২.৭১ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। তারইমধ্য়ে উত্তর ২৪ পরগনায় ১২৮ জন নয়া আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। আবার দশের নীচে দৈনিক আক্রান্ত আছে পুরুলিয়া (এক), ঝাড়গ্রাম (চার), আলিপুরদুয়ার (চার), বীরভূম (পাঁচ), মালদহ (ছয়), মুর্শিদাবাদ (ছয়) এবং কালিম্পঙে (আট)।
তবে সংক্রমণের হার বাড়লেও বুধবারের বুলেটি🍸ন অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ১১ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। আগেরদিন যা ছিল ১০। সার্বিকভাবে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮.৯৩৫ (১.২ শতাংশ)। চারজনের মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়। তিনজন মারা গিয়েছেন কলকাতায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দু'জনের মৃত্♛যু হয়েছে। একজন করে মারা গিয়েছেন দার্জিলিং এবং হুগলিতে।
তারইম🐭ধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা মুক্ত হয়েছেন ৭৭৫ জন। তার ফলে রাজ্যে করোনা মুক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫,৫১,৮৯০ (৯৮.৩২ শতাংশ)। সামান্য কমেছে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যাও। ১৫ কমে রাজ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭,৬৫৭।