করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচার উদ্দেশে ১৫ জুন থেকে এক সপ্তাহের জন্য দার্জিলিং শহরের সমস্ত দোকান-বাজার ও শপিং মল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ১৬টি বাণিজ্য ও পরিবহণ 🗹সংগঠন। কিন্তু শনিবারের বৈঠকে পরিকল্পনা বাতিল হয়ে যায়।
শুক্রবার দার্জ🅰িলিং পুর এলাকার অধীনে থাকা সমস্ত দোকান এবং অন্যান্য বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা করে নব𒉰গঠিত সেভ দার্জিলিং কোভিড-১৯ প্রোটেকশন কমিটি। কমিটিতে রয়েছে মোট ১৬টি সংগঠন যার মধ্যে চেম্বার অফ কমার্স দার্জিলিং, পথ পাসালে সংঘ এবং হিমালয়ান ট্রান্সপোর্ট কোঅর্ডিনেশন কমিটি অগ্রগণ্য।
হিমালয়ান ট্রান্সপোর্ট কোঅর্ডিনেশন কমিটির সভাপতি এস এন প্রধান জানান,&🅰nbsp;‘আমরা বনধ ডাকিনি তবে দার্জিলিং শহরের মধ্যে দার্জিলিং মিউনিসিপ্যালিটির অধীনে থাকা সবাইকে༺ ২১ জুন পর্যন্ত বাড়ির ভিতরে থাকতে, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে এবং রাস্তায় গাড়ি না বের করতে অনুরোধ জানিয়েছি।’
এই পরিকল্পনা অবশ্য শেষ পর্যন্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছে কমিটি। শনিবার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ১৫ জুন থেকে শহর অচল রাখার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা কার্যত বাস্তবায়িত করার পথে বিস্তর বাধা রয়েছে। সেই কারণে পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসে ১৬ সংগঠনের ꧑কমিটি।
আগের বৈঠকে আলোচিত হয়েছিল যে, সামাজিক দূরত্ব বিধি ঠিকঠাক পালন করা হচ্ছে না। করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় আপাতত ব্যক্তিগত বিচ্ছিন্নতা। সেই কারণেই বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, দোকান-বাজার এবং গাড়ি চলাচল এক সপ্তাহর বন্ধ ꦆরাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১২ জুন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর💧্যন্ত দার্জিলিঙে করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮৪ জন, মারা গিয়েছেন তিন জন। পথ পাসালে সংঘের সম্পাদক মীরা বরাইলি জানান, ‘বাড়িতে বন্দি থাকার আবেদনের সঙ্গে কোনও ব্যক্তিগত কারণ অথবা জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের সম্পর্ক নেই। প্রত্যেকের নিরাপদ থাকার অধিকার রয়েছে এবং শুধুমাত্র করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের স্বার্থেই দোকান-বাজার ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১৬টি সংগঠন। এই সময় সরকারি ও🦄 বেসরকারি সব রকম পরিবহণও বন্ধ রাখা হচ্ছে।'
অন্য দিকে, দার্জিলিং জেলার সমতলে শিলিগুড়ি শহরে শুক্রবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য মাছের বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। সোমবার থেকে সাত দিনের জন্য বন্ধ থাকছে ফল ও সবজির বাজারও। বা𝓡জার অঞ্চলে যাতায়াতকারীদের মধ্যে সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের হার উল্লেখযোগ্য বাড়ার ফলেই এই সꦛিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর।