ফের রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডেꦅর ছায়া। ধুবুলিয়ায় মায়ের মৃতদেহ পাঁচ মাস ধরে আগলে বসে ছিলেন মেয়ে। মেয়ের স্থির বিশ্বাস, মা বেঁচে আছেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেই মৃতদেহ উদ্ধার করে। কীভাবে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধুবুলিয়ার বাজার কলোনি পাড়ায় মা মন্দিরা দাসের দেহ আগলে বসে ছিলেন আটত্রিশ বছর বয়সি দোলা দাস। খবর পেয়ে পুলিশ দোলার বাড়িতে যায়। দোলার বিশ্বাস, মা এখনও বেঁচে আছেন, দুধ খাচ্ছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ কঙ্কালটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ জা🌺নিয়েছে, কঙ্কালটিকে পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। প্রাথ𝓡মিকভাবে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে, ঠিক কতদিন আগে মন্দিরার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পিছনে ঠিক কী কারণ রয়েছে। এই দুটি উত্তর পাওয়া গেলেই গোটা বিষয়টি উদঘাটন করা সম্ভব হবেই পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দোলা দাসকে তাঁর মামার বাড়ি তাতলা গ্রামে পাঠানো হয়েছে। সেখানে মামার বাড়ির লোকজনরাই তাঁর চিকিৎসার বন্দোবস্ত করছে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে পার্ক স্ট্রিটের রবিনসন স্ট্রিটে বোন, পোষা কুকুরের দেহ আগলে দী🌟র্ঘদিন পড়েছিলেন পার্থ দে নামে এক ব্যক্তি। পরে পার্থ দে–কে বেশ কিছুদ🌼িন মানসিক হাসপাতালে রাখা হয়। মানসিক হাসপাতাল থেকে পার্থকে ছাড়া হলেও পরবর্তীকালে তাণর মৃত্যু হয়। রবিনসন কাণ্ডের ঘটনাই সারা রাজ্যের মানুষকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এরপর অবশ্য রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন সময়ে এই ধরনের নানা ঘটনা ঘটেছে।