বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। আজ, শুক্রবার সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বেশ কয়েকটি বার্তা দেন রাজনাথ সিং। একদিকে তিনি কবিগুরুকে সামনে রেখে নানা কথা বলেন। অন্যদি🅠কে ছাত্রছাত্রী থেকে উপস্থিত সকলকেও ভাল কাজ করার বার্তা দেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যের ছত্রে ছত্রে উঠে এসেছে রবীন্দ্রনাথের দেখানো পথে জীবনবোধ। যে কথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলে থাকেন।
বিশ্বভারতীর নামেই তার বৈশিষ্ট্য ও গুরুদেবের জীবনবোধ স্পষ্ট রয়েছে 🌊বলে তিনি মনে করেন। তাই তি꧑নি বলেন, ‘বিশ্বভারতী এমন শব্দ, যেখানে বিশ্বও আছে ভারতীও আছে। সমস্ত বিশ্বের আচার বিচার ও ব্যবহারকে নিয়েই ভারতের সম্পর্কের বিকাশ করাই লক্ষ্য। সাধারণত এই ধরনের অনুষ্ঠানে আমি একদিনেই ফিরে যাই। কিন্তু বিশ্বভারতী ও গুরুদেবকে জানব বলে আমি একদিন অতিরিক্ত রেখেছি। তবে এটা ঠিক, এক–দু’ দিনে বিশ্বভারতী বা গুরুদেবকে জানা সম্ভব নয়।’
এদিন উপাচার্যের বিরুদ্ধে পো🌜স্টার পড়েছিল বিশ্বভারতীতে। সেটা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর চোখে পড়ে। কিন্তু তিনি সরাসরি 💜এই নিয়ে কোনও শব্দ খরচ না করে শুধু বার্তা দেন, ‘জীবনে যে কাজই করবেন সেরাটা দিন। চেষ্টার কোনও শেষ হয় না। লক্ষ্যে পৌঁছতে সবসময় চেষ্টা করে যেতে হবে। কখনও নিরাশ হবেন না। বিশ্বভারতী তীর্থের থেকে কোনও অংশে কম নয়। পশ্চিমবঙ্গের একটা ধর্মীয় তীর্থস্থান যদি গঙ্গাসাগর হয় তাহলে শিক্ষার তীর্থস্থান এই শান্তিনিকেতন। তফাৎ🌟 এটুকুই, গঙ্গাসাগরে দূর থেকে গঙ্গা এসে সাগরে বিলীন হয়। শান্তিনিকেতন থেকে পড়ুয়াদের রূপে বের হওয়া জ্ঞান ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বভারতী শিক্ষার ম🀅ন্দির। গুরুদেবের জ্ঞানের মূর্ত স্বরূপ।’
এদিকে অমর্ত্য সেনের জমি নিয়ে উপাচার্যের বিতর্ক অন্যদিকে আশ্রমিক, প্রাক্তনীদের বুড়ো খোকা থেকে শুরু করে অশিক্ষিত বলে হাওয়া গরম করেছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেখানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এখন൲ দেশ প্রগতির পথে🧸 এগোচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশ্বের দরবারে নিজের ছাপ রাখছে। মেক ইন ইন্ডিয়া থেকে মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ডের দিকে এগোচ্ছে। এটা গুরুদেবের দেখানো লক্ষ্যের পথে এগোনো। এভাবেই আমরা এগোতে থাকলে সেদিন দূরে নয়, যেদিন আমাদের দেশের অর্থনীতি অন্যতম দেশ হিসাবে শীর্ষে পৌঁছে যাবে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত ‘টপ ইকোনমি’ রূপে বিশ্বের সামনে আসবে। মহিলাদের ক্ষমতায়ন না হলে দেশের পক্ষে এগোনো কঠিন। কোনও ইগো রাখবেন না। কোনও কাজ করতে চাইলে বড় মনে কাজ করুন।’