৯ ফেব্রুয়ারি থেকে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। তার ১২ দিন পর পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে সেখানে💦 গেলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। তাঁর সঙ্গে গিয়েছেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার এবং বসিরহাটের পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান।
সন্দেশখালি পৌঁছে প্রথমেই ডিজি থানায় চলে যান। এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। সেখানে স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলꦇেন রাজীব কুমার। এছাড়া যে সব এলাকায় ১৪৪ ধারা রয়েছে সেই এলাকাগুলিও সরেজমিনে ঘুরে দেখবেন তিনি। মূলত স্থানীয় মানুষদের মধ্যে আস্থা ভরসা ফেরানোর জন্যই তাঁর এই সফর বলে জানিয়েছেন পুলিশা আধিকারিকেরা।
নবান্ন থেকে ইতিমধ্যেই পুলিশ কর্তাদের নিয়ে ১০ সদস্যের একটি টিম তৈরি করে দিয়েছে। সেই টিম এলাকায় ঘুরে সাধারণ মানুষের সমস্যা বোঝার চ🥂েষ্টা করছে, তাঁদের অভিযোগও নিচ্ছে। এই পরিস্থিতিত🔴ে ডিজি এলাকায় যাওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পডুন। সন্দেশখালিতে স🃏াংবাদিক গ্রেফতার, রাজ্য প🌃ুলিশকে নোটিশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের
এদিন তিনি আলিপুর থেকে কনভয় নিয়ে কলকাতা ব🌠াসন্তী হাইওয়ে ধরে ধামাখালি জেটি ঘাটে আসেন। সেখান থেকে লঞ্চে চেপে ছোট কলাগাছি নদী পেরিয়ে সন্দেশখালিতে আসেন। রাজীব কুমার লঞ্চ থেকে নেমে টোটো করেই সন্দেশখালি থানায় যান♉।
বসছে সিসিটিভি
সন্দেশখালি সমস্ত এলাকায় পুলিশি নজরদারি আরও বাড়ানো ไহচ্ছে। এলাকায় নজরদারি আরও জোরদার করতে, ৪ টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা। খুলনা ঘাট, ভোলাখালি ঘাট, ত্রিমোহিনী বাজার এবং সন্দেশখালি ঘাটে বসছে সিসি ক্যামেরা। সন্দেশখালিতে ঢোকা বেরোনোর মূল পথ এইগুলি। তাই এখানেই সিসি ক্যামেরা বসিয়ে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে সিপিএম এবং বিজেপির নেতাদেরও। তবে সাধারণ মানুষ চাইছেন গ্রেফতার করা হোক শেখ শাহজাহানকে। তিনি এখনও নিখোঁজ।পুল𓄧িশের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ রয়েছে।
ডিজি অবশ্য আগে জানিয়েছেন, শাহজাহানের গ্রেফাতরি নিয়ে তাঁদের কিছু করার নেই। কারণ, বিষয়টি যেহেতু ইডি তদন্তাধীন, তাই তারাই তাঁকে ধরতে পারবে। শনিবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, সন্দেশখালির বাসিন্দাদের সবরকম সা✤হায্য করতে প্রস্তুত পুলিশ। ধাপে ধাপে 🦩১৪৪ ধারাও তুলে নেওয়া হবে। তার পর নিজেই সন্দেশখালিতে গেলেন ডিজি।