সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী হলেন এক গৃহবধূ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতে। নেটমাধ্যমে দেওয়া ওই সুইসাইড নোটে নিজের আত্মহত্যার জন্য ননদ, শাশুড়ি ও দিদিশাশুড়িকে দায়ী করে গিয়েছেন ওই বধূ। তাঁর প্রণয়ের সম্পর্ক না মেনে শ্বশুড়বাড়ির লোকেরা উলটে পণের জন্য তাঁকে মারধর করত বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। সুইসাইড নোটে তিনি লিখেছেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী শাশুড়ি, ননদ ও দিদিশাশুড়ি’। আরও লিখেছেন, তাঁদের প্রণয়ের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি পার্থের বাড়ির লোকেরা। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর কাছে পণের দাবি জানাতেন বলেও সুইসাইড নোটে অভিযোগ করেছেন তিনি। এমনকী, স্বামীকে ফের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা শুরু করেছেন বলেও জানাতেন বধূর শাশুড়ি। পাশাপাশি, গত একমাস ধরে অসুস্থ হলেও তাঁর চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন ওই বধূ। ওই সুইসাইড নোটটি নেটমাধ্যমে পোস্ট করার পর আত্মঘাতী হন তিনি।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই বধূর নাম অনিতা হালদার। মাস ছয়েক আগেই অনিতার সঙ্গে বিয়ে হয় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃন্ময় হালদার ওরফে পার্থর। তবে কেন স্ত্রীকে এই চরম সিদ্ধান্ত নিতে হল, তা নিয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন পার্থ। তিনি বলেন, ‘ঘটনার সময় অনিতা বাপের বাড়িতে ছিল। কী কারণে ও আত্মহত্যা করল, তার কিছুই আমাদের জানা নেই। সুইসাইড নোটে কেন এ রকম মন্তব্য করল, সেটাও জানি না। সামনেই আমার বোনের বিয়ে। ওর নামেও অভিযোগ করেছে। দু’দিন আগেই অনিতা নিজের হাত কেটে, সেটা ভিডিয়ো করে আমায় পাঠিয়ে বলেছিল, আত্মহত্যা করব। তবে আমাদের মধ্যে ঘটনার রাতে কোনও অশান্তিও হয়নি।’ যদিও মৃতার দাদা কৃষ্ণ দাসের অভিযোগ করেন, ‘বোনের ওপর অত্যাচার চালাত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এ বিষয়ে মুখে কিছু না বললেও মাঝেমাঝেই বোন আমাকে মেসেজ করে জানাত। তাঁর আরও অভিযোগ, বোন অসুস্থ হয়ে পড়লে, চিকিৎসককে পর্যন্ত দেখায়নি ওর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এমনকী ভালোভাবে ওকে খেতেও দিত না। সেকারণে বাধ্য হয়ে ও আত্মহত্যা করেছে।’ গোটা ঘটনায় অনিতার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন তাঁর পরিবার ও পাড়া প্রতিবেশীরা।