স্বর্ণঋণদানকারী সংস্থার লকার থেকে সোনা চুরির অভিযোগে গ্রেফতার সংস্থারই উত্তরপাড়া শাখার ম্যানেজার। মঙ্গলবার রাতে তল্লাশি চালিয়ে তাঁকে দিঘা থেকে♈ গ্রেফত⛦ার করে পুলিশ। গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে পলাতক ছিলেন সঞ্জীব দত্ত নামে ওই যুবক। লাগাতার তদন্ত চালিয়ে অবশেষে সাফল্য পেল পুলিশ।
গত ২৯ ডিসেম্বর উত্তরপাড়🅺ার মুথুট ফিনান্সের দফতরে অডিটে জানা যায় সেখানে জমা পড়া সোনা আর মজুত সোনার পরিমানে গরমিল রয়েছে। মজুত সোন꧃ার পরিমাণ জমা পড়া সোনার থেকে কম। এর পর সিসিটিভি ফুটেজ হাতিয়ার করে তল্লাশিতে নামে সংস্থা। দেখা যায় লকারের সামনে সিসিটিভি ক্যামেরাই বন্ধ। আর ঠিক সেদিন থেকেই বেপাত্তা সংস্থার ম্যানেজার সঞ্জীব দত্ত।
দু’য়ে দু’য়ে চার করে সঞ্জীবের বিরুদ্ধে লকার থেকে সোনা সরানোর অভিযোগ করা হয় সংস্থার তরফে। অভিযোগ পেয়েই তৎপর হয় পুলিশ।🔯 কিন্তু সেখানেও বিপত্তি। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে অভিযুক্তের মোবাইল ফোন ছিল বন্ধ। ফলে তাঁর লোকেশন জানাও সম্ভব হচ্ছিল না তদন্তকারীদের পক্ষে। এই অবস্থায় মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার কাছে অভিযুক্তের কল লিস্ট চেয়ে পাঠায় পুলিশ। কল লিস্টের প্রতিটি নম্বর খতিয়ে দেখতে শুরু করে তারা। দেখা যায়, ঘটনার আগের দিন বিকেলে দিঘার একটি হোটেলে ফোন করেছি🎃লেন অভিযুক্ত যুবক।
এর পর আর দেরি করেননি উত্তরপাড়া থানার আধিকারিকরা। দল গঠন করে দিঘায় ওই হোটেলে হানা দেন তাঁরা। কিন্তু সেখানেও আসে বাধা,🌜 যে হোটেলে সঞ্জীব 🌌ফোন করেছিলেন সেখানে তাঁকে পাওয়া যায়নি। এর পর স্থানীয় সোর্স ব্যবহার করে দিঘারই একটি হোটেলে অভিযুক্তকে খুঁজে বার করেন তদন্তকারীরা। রাতেই তাঁকে আনা হয় উত্তরপাড়া থানায়। বুধবার তাঁকে শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে।
বিষয়টি 🦩নিয়ে মুথুট ফিনান্সের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে অভিযুক্ত ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ করা হয়েছে। চুরির অঙ্কটা কত, সেটা নির্ধারণের জন্য সংস্থার তরফে অভ্যন্তরীণভাবে তদন্ত চালানো হচ্ছে। গ্রাহকদের উপর সেই ঘটনার কোনও প্রভাব পড়বে না বলে মুথুট ফিনান্সের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।