শীতটা ভালই পড়েছে। তাই দিঘা–মন্দারমনি–তাজপুরে ভিড় বাড়ছে। এখা🔯নে এসে ছুটির আমেজ ও শীত একসঙ্গে উপভোগ করছেন ভ্রমণপিপাসুরা। তাছাড়া বাঙালির সপ্তাহান্তের ছুটি কাটানোর এটা একটা পছন্দের জায়গা। কিন্তু এই দিঘা–মন্দারমনিতে গত দু’বছরে অপরাধের প্রবণতা বেড়েছে বলে পুলিশ সূত্র𝓡ে খবর। পুলিশ রেকর্ড সেটাই বলছে। বহু হোটেলের ঘর থেকে যুবক–যুবতীর দেহ উদ্ধার থেকে শুরু করে সৈকতের ধারে বেড়ে উঠছে মধুচক্রও। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মধুচক্র থেকে একাধিক যুবক–যুবতীকে পাকড়াও করেছে। এবার তাই এই ধরনের প্রবণতা ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ করছে পুলিশ।
এদিকে এই কড়া পদক্ষেপের ফলে এখন চাইলেই আর চটজলদি বুকিং করে হোটেলের ঘর পাবেন না পর্যটকরা। তার জন্য সমস্ত নথি জমা থাকবে হোটেল রিসর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। আর🌄 হোটেল–রিসর্ট কর্তৃপক্ষকে সেইসব নথি আপলোড করতে হবে পোর্টালে। যা পেয়ে যাবে পুলিশ। পর্যটক তথ্য ও অপরাধ দমন করতেই জেলায় শুরু হয়ে গেল আনুষ্ঠানিকভাবে ‘অতিথি’ পোর্টাল। এখানেই হোটেল–রিসর্ট কর্তৃপক্ষকে আপলোড করতে হবে নথি। তাতে নিরাপত্তা বাড়বে। অপরাধ দমন–সহ নিরাপত্তা জোরদার করতে ‘অতিথি’ পোর্টাল চালু করা হল। স✅মস্ত হোটেল, লজ, গেস্টহাউসে আসা পর্যটক, পেয়িং গেস্টদের রেকর্ড বজায় রাখতে পোর্টাল চালু হল।
অন্যদিকে জুনপুট উপকুল থানা চালু করা হয়েছে। জুনপুট উপকূল থানার নতুন বিল্ডিং উদ্বোধন করেন এডিজি অ্যান্ড আইজিপি পশ্চিমাঞ্চল ত্রিপুরারি অথর্ভ। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুর রেঞ্জের আইজি অনুপ জয়সওয়াল ও জেলা পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য। সেখানে উচ্চপদস্থ অফিসারদের উদ্যোগে পুলিশের গেস্ট রিপোর্টিং পোর্টাল ‘অতিথি’র উদ্বোধনও হয়। একাধিক পুলিশকর্তার উপস্থিতিতে এই প꧂োর্টাল চালু হয়। আর পূর্꧒ব মেদিনীপুরে পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য এই বিষয়ে বলেন, ‘পেটুয়াঘাটে মৎস্য বন্দরে ৫টি ঘরে ভাড়া নিয়ে থানা চলত। প্রশাসনিক কাজকর্ম করার ক্ষেত্রে বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল।’
আরও পড়ুন: পুলিশের অনুমতি ছাড়া কোনও মিছিল নয়, জেলার পুলিশ সুপারদের নিয়েꦛ বৈঠকে সিদ্ধান্ত
এছাড়া এখানে সাইবার সেলও বেশ মজবুত করা হয়েছে। এডিজি অ্যান্ড আইজিপি পশ্চিমাঞ্চল ত্রিপুরারি অথর্ভ এবং মেদিনীপুর রেঞ্জের আইজি অনুপ জয়সওয়াল উদ্বোধন করেন পোর্টালের। অতিথি পোর্টাল আগে পাইলট হিসাবে চলছিল। দিঘা, মান্দারমণি, শঙ্করপুরের হোটেল ও রিসর্টে নানা অপরাধ হচ্ছে বলে পুলিশ খবর পেয়েছে। তাই কড়া নজর রাখতে শুরু করেছে। এমনকী এই ব্যবস্থা করে সবটা খতিয়ে দেখতে 𝔉চাইছেন। যে সমস্ত পর্যটকরা আসবেন তাঁদের নথি অতিথি পোর্টালে আপলোড করতে হবে। যদি হোটেল মালিকরা গোপন করে এবং ধরা পড়ে তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।