কোচবিহারের দিনহাটায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিকের কনভয়ে হামলা চালানোর অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাপান𝓡উতোর তুঙ্গে। এনিয়ে এ♕কাধিক বিজেপি নেতা নেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এবার সেই অভিযুক্ত বিজেপি নেতা নেত্রীদের বাড়িতেই গেলেন নিশীথ প্রামাণিক। আর সেখানে গিয়ে তৃণমূল আর পুলিশকে নিশানা করলেন খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর দাবি গামছা বেঁধে, হাওয়াই চটি পরে দিনহাটায় পুলিশ এসেছিল।
নিশীথ প্রামাণিক বলেন, পুলিশ একতরফা করছে। পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত নিন্দনীয়। পুলিশ শুধুমাত্র তারা পোশাকধারী তৃণমূলের গুন্ডায় পরিণত হয়েছে। তারা কী উদ্দেশ্য়ে আসতে চাইছিল আমাদের কাছে সন্দেহ রয়েছে। পুলিশ যারা এসেছিলেন তাদের কারোর পায়ে হাওয়াই চপ্পল, কেউ বা মাফলার পরে। আবার কারোর হাতে আগ্নেয়াস্ত্র। পুলিশ এই অবস্থায় আসতে পারে না। পুলিশ মদ্যপ অবস্থায় এসেছিল। অশ্রাব্য গালিগালাজ করেছে। তালা ভেঙে এভাবে গালিগালাজ করা কোন সংবিধানে লেখা আছে আপনারা বলুন।পুলিশ এভাবে অত্যাচার করতে পারে। বাড়িতে ছোট শিশুরা রয়েಌছে, বয়োজ্য়েষ্ঠ লোকজন রয়েছেন। এখানে এসে এভাবে অত্য়াচার! এটা কোচবিহা🌄রের মানুষ মেনে নেবেন না। নিশ্চিতভাবে যে পুলিশরা এসেছিলেন তাদের চিহ্নিত করা গেলে কারণ❀ পুলিশ কম ছিল, তাদের সঙ্গে হার্মাদ বাহিনী বেশি ছিল। পুলিশ নিজে চলতে পারছে না। তৃণমূল থেকে গুন্ডা ভাড়া করে চলছে। তাদের ভাড়া করতে হচ্ছে।
নিশীথ প্রামাণিকের পালটা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কারা মাফলার পরে, হাতে হকিস্টিক নিয়ে এসেছিল হকি খেলতে এসেছিল সেটা দিনহাটার মানুষই দেখেꦍছেন। একেবারে মাঠে নেমে খেলেছেন বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি।
এদিকে দিনহাটা কাণ্ডের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক ছবি পোস্ট করে উদয়ন গুহ প্রশ্ন করেন অস্ত্র হাত෴ে এরা কারা? এবার সেই তৃণমূলকে চাপে রাখতে কার্যত তোপ দাগলেন নিশীথ প্রামাণিক।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, চটি পায়ে পুলিশ কথাটি উচ্চারণ হলেই অনেকের মনে পড়ে যান নন্দীগ্রামের কথা। বাম জমানায় অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলকে খতম করতে চ🐻টি পায়ে ময়দানে নেমেছিল পুলিশ। তখন তৃণমূল অভিযোগ তুলেছিল, সিপিএমের দুষ্কৃতীরা হাওয়াই চটি পরে অস্ত্র হাতে, পুলিশের পোশাক পরে তৃণমূলকে খুন করেছিল। আর এবার তৃণমূল জমানায় খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অভিযোগ তুললেন, তৃণমূলকে ভাড়া করে হাওয়াই চটি পরে দিনহাটায় এসেছিল পুলিশ। বিস্ফোরক অভিযোগ।