একে তো একমাত্র হাসপাতালটি দীর্ঘদিন বন্ধ গোবরডাঙায়। ভরসা বলতে স্থানীয় চিকিৎসকরা। তেমনই এক চিকিৎসকের বাড়িতে বুধবার রাতে হামলা চালাল একদল দুষ্কৃতী। নারায়ণচন্দ্র কর নামে ওই চিকিৎসকের বাড়িতে বুধবার রাতে প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে ইট-পাটকেল ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। ভেঙে দেওয়া হয় ডাক্তারবাবুর বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরা। ঘটনার পর গোবরডাঙা থানার বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন ওই চিকিৎসক। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ গোবরডাঙা হাসপাতাল। সামান্য অসুস্থতাতেও চিকিৎসা পেতে ১০ – ২০ কিলোমিটার পথ পেরোতে হয় স্থানীয়দের। এই পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থায় ভরসা এলাকার চিকিৎসকরা। করোনা পরিস্থিতিতেও ঝুঁকি নিয়ে পরিষেবা দিয়ে চলেছেন তাঁরা। তেমনই এক চিকিৎসকের বাড়িতে বুধবার গভীর রাতে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। চিকিৎসক নারায়ণচন্দ্র কর জানান, ‘গভীর রাতে প্রথমে তাঁর বাড়ির সামনে লাগানো ২টি সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে দুষ্কৃতীরা। তারপর শুরু হয় ইটবৃষ্টি। ইটের ঘায়ে ভেঙে যায় জানলার কাচ। সঙ্গে চলতে থাকে অশ্লীল গালিগালাজ।’ চিকিৎসকের অভিযোগ, থানায় ফোন করলেও কোনও তৎপরতা চোখে পড়েনি। গোটা রাত আতঙ্কে বাড়িতেই কাটান তিনি ও তাঁর পরিবার। কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে তা স্পষ্ট করে বলতে না পারলেও নারায়ণচন্দ্রবাবু জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে একটি শিশুর গলায় মুড়ি আটকে যাওয়ায় তাঁর কাছে নিয়ে এসেছিলেন বাড়ির লোকেরা। কিন্তু গলা থেকে মুড়ি বার করার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম তাঁর বাড়িতে ছিল না। পাশেই চেম্বারে রাখা ছিল সেগুলি। শিশুটিকে চেম্বারে নিয়ে যেতে অনুরোধ করেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পর একদল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়। ঘটনায় চিকিৎসকের পাশে একজোট হয়ে দাঁড়িয়েছে বিরোধী দলগুলির স্থানীয় নেতৃত্ব। বিজেপির গোবরডাঙা পৌরমণ্ডল সভাপতি আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘গোবরডাঙায় চিকিৎসা পরিষেবা বলে কিছু নেই। তার ওপরে চিকিৎসকের ওপর হামলা হচ্ছে। প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এতেই স্পষ্ট হামলার পিছনে কারা রয়েছে। আমরা ডাক্তারবাবুর পাশে আছি।’স্থানীয় সিপিএম নেতা বাপি ভট্টাচার্য বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে ডাক্তারবাবু নিরলস পরিশ্রম করে গিয়েছেন। তার বাড়িতে হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’ এব্যাপারে পুলিশের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।