ময়নাতদন্তের পর মৃত দেহ আনতে গেলেই মৃতের পরিবারের সদস্যদের কাছে বিপুল পরিমাণ টাকা চাইছেন মর্গের কর্মীরা। তাদের সাফ কথা ডোমেদের মদ খাওয়ার জন্য টাকা দিতে হবে। সেই টাকা না দিলেই পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না মৃতদেহ। এমনই অভিযোগ উঠেছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের মর্গের কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। বুধবার সকাল থেকে ৭ টি দেহের ময়নাতদন্ত হয় পশ্চিম মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে। তারমধ্যে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ আনতে সেখানে যান পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, তখনই মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য মর্গের কর্মীরা তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে দেড় হাজার টাকা করে দাবি করেন। এনিয়ে প্রথমে মৃতদের পরিবারের সদস্যরা অবশ্য খুব বেশি প্রতিবাদ করেননি। কিন্তু, ঘটনাক্রমে সবংয়ের তৃণমূল নেতা সুবল মাঝির এক আত্মীয়ের মৃতদেহ সেখানে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার খবর পেয়েই তিনি মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে মৃতদেহ আনতে গেলেই উত্তেজনা তৈরি হয়। তার প্রতিবাদ করা দেখে অন্যান্য পরিবারও মর্গের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সরব হয়ে ওঠেন। তৃণমূল নেতার অভিযোগ, ‘মৃত্যুর পর যে কোনও পরিবারের সদস্যদের মানসিক অবস্থা খুবই খারাপ থাকে। কিন্তু, পরিবারের সেই অবস্থা জানার পরেও মর্গের কর্মচারীরা যা করছেন তা অমানবিক। এরা আমাদের সরকারের বদনাম করছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আমি দলের সঙ্গে এনিয়ে কথা বলব।’ উল্লেখ্য, মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে এর আগেও বিভিন্নসময় চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ ওঠার পাশাপাশি আয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন রোগীর পরিবার। এবার মর্গের কর্মচারীদের নিয়ে ফের কাঠগড়ায় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ।