একুশের নির্বাচনের আগে যখন বিজেপি আগ্রাসী ভূমিকা নিয়েছিল বাংলা দখল করার জন্য তখন পাল্টা স্লোগান উঠেছিল—’যতই করো ছোটাছুটি নবান্নে ওই হাওয়াই চটি। ফলাফল অবশ্য তাই হয়েছিল। আসলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব সাধারণ জীবনযাপন করেন। তাই তাঁর পায়ে দেখা যায় ‘হাওয়াই চটি’। পাহাড় থেকে সমতল সর♛্বত্রই তাঁকে হাওয়াই চটি পড়েই হাঁটতে দেখা যায়। এমনকী বিদেশের মাটিতেও তাঁর পাযে ছিল হাওয়াই চটি। মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের নীল–সাদা হাওয়াই চটি গুরুত্ব পেয়েছে রাজনৈতিক আঙিনায়। এবার নজর কেড়েছে ডুয়ার্স ফান সিটির এক সেলফি পয়েন্ট।
কেন নজর কেড়েছে সকলের? এখানে এলে দেখা যাবে, বিশাল এক হাওয়াই চটি গড়ে তোলা হয়েছে। রং সেই নীল–সাদা। এখানে একটি হাওয়াই চটিকে কেন্দ্র করেই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পর্যটন শিল্প। এটা রীতিমতো জনপ্রিয় সেলফি পয়েন্টে পরিণত হয়েছে। আর এই হাওয়াই চটি দেখতেই দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকরা আসছেন ডুয়ার্সের বানারহাট এলাকায়। বড় আকারের 🌠এই হাওয়াই চটি🐟 তৈরি করা হয়েছে পর্যটন কেন্দ্রে যাতে মানুষজন এখানে এসে সেলফি নেন। মজা করেন। সিমেন্ট দিয়েই তৈরি হয়েছে এই হাওয়াই চটি। যা এখন ঘুরতে এসে একটা সেলফি নিয়ে ফেলছেন পর্যটকরা। অনেকে বলেছেন, আইডিয়াটা দারুণ।
এদিকে এই হাওয়াই চটি ঘিরেই তৈরি হয়েছে একটি সেলফি পয়েন্ট। অনেকেই মজা করে বলছেন, এটি মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের চটি। সেটা আসলে নয়। তবে এই নিয়ে ♏কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন ওই বেসরকারি পর্যটন সংস্থার কর্তারা। ডুয়ার্স ফান সিটির কর্ণধার শেখ জিয়াউর রহমানের কথায়, ‘এটা বিশেষ কোনও চিন্তাভাবনা থেকে তৈরি করা হয়নি।✅’ যদিও অনেক পর্যটকের মত, মমতা দিদির চটিকে সম্মান দেওয়া হচ্ছে। এসব আলোচনার মধ্যেই চটি এখন পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। পর্যটকদের সেলফি তোলার হিড়িক লেগেই রয়েছে। আর প্রত্যেকেই এখানে এসে ছবি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন।
আরও পড়ুন: ‘শিল্📖প–সেতু’ গড়ে উঠতে চলেছে বর্ধমান–আরামবাগ রোডের উপর, পাল্টা🐟বে পরিস্থিতি
অন্যদিকে ডুয়ার্সের বানারহাটের ডায়না নদী সংলগ্ন এলাকায় এই পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এই চাঞ্চল্যকর সেলফি পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছে। এখন ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা ছুটে আসছেন এখানে। শিশুদের জন্য মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া আরও অনেক কিছু রয়েছে পর্যটকদের আকর্ষণ 💜বাড়াতে। ডুয়ার্সের চিলাপাতা সেলফির জন্য পর্যটকরা আসেন। আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বন দফতরের জমিতে এই সেলফি ꦏপয়েন্টে তৈরি করা হয়েছে। চিলাপাতা মোড় থেকে বানিয়া বস্তি যেতে বাঁদিকে শালবাগানে গড়ে তোলা হয়েছে এই সেলফি পয়েন্ট। লেখা রয়েছে ‘আই লাভ চিলাপাতা’।