সোনা পাচারের আগেই উদ্ধার করলেন ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইনটেলিজেন্সের (ডিআরআই) গোয়েন্দারা। হুগলির উত্তরপাড়া স্টেশন থেকে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার সোনা উদ্ধার হয়েছে। সেই সঙ্গে একজনকে গ্রেফতার করেছেন গোয়েন্দারা। ধৃতের নাম রাকেশ ভার্মা। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি সꦕোনার বিস্কুট-সহ সোনার চাকতি, যা দেখতে অনেকটা ডিভিডির মতো। গোয়েন্দাদের অনুমান, বড়বাজারে এই সোনা নিয়ে আসার চেষ্টা করছিল পাচারকারী। তার আগেই তাকে ধরে ফেলেন গোয়েন্দারা। তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সোনার বাজারদর প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা।
ডিআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত রাকেশের বাড়ি বি🎉হারের বক্সারে। কলকাতার বড়বাজারে এক সোনা পাচারচক্রের মাথার হয়ে কাজ করতো ওই যুবক। এই সমস্ত সোনা বাংলাদেশের সীমান্ত পেরিয়ে উত্তর পূর্ব ভারত হয়ে কলকাতায় নিয়ে আসছিল পাচারকারীরা। রাকেশ ওই চক্রের পান্ডার নির্দেশে বিভিন্ন স্টেশন থেকে সোনা সংগ্রহ করে সেগুলি বড়বাজারে নিয়ে আসার কাজ করতো। ডিআরআইয়ের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, উত্তরপাড়ায় পাচারকারীরা সোনা নিয়ে আসছে। গোপন সূত্রে সেই খবর পাওয়ার পরে উত্তরপাড়া স্টেশনের বাইরে হানা দেন গোয়েন্দারা। সোনা সংগ্রহ করার পর তা বেগে করে নিয়ে স্টেশনের দিকে রওনা দিচ্ছিল রাকেশ। সেই সময় তাকে ধরে ফেলেন গোয়েন্দারা। তার ব্যাগ খুলতেই বেরিয়ে আসে বেশ কয়েকটি সোনার বিস্কুট এবং সোনার চাকতি। তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সোনার পরিমাণ প্রায় ৭ কিলো ৫৭২ গ্রাম। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, এই পরিমাণ ♏সোনার বাজারদর ৪ কোটি ৭ লক্ষের কিছু বেশি। জানা গিয়েছে, ধৃতের কাছে ১২টি সোনার বিস্কুট ছিল এবং একটি সোনার চাকতি ছিল।
সাধারণত, সোনা বিস্কুটের আকারে পাচার করার ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। তবে চাকতির আকারে সোনা পাচার করার ঘটনা বিরল। গোয়েন্দাদের অনুমান, সোনার চাকতি রাখতে কম জায়গা লাগে। সেই কারণে সোনা গালিয়ে পাচারকারীরা চাকতির আকার দিয়েছে। রবিবার ধৃতকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয় সেখানে বিচারক ধৃতকে ২ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার ন✨ির্দেশ দিয়েছেন। এই পাচারচক্রের সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত? এই চক্রের মাথায় কে বা কারা রয়েছে? তা জানার চেষ্টা করছে ডিআরআই। এছাড়াও কোথায় কোথায় সোনা পাচার করা হতো সে বিষয়টিও জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App🌠 বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার൲ লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup