প্রশাসনের নির্দেশে বন্ধ হয়ে যায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১১২ ফুটের দুর্গা। রানাঘাটের কামালপুরে দুর্গাপুজো বন্ধের সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে ৮ থেকে ৮০😼 গ্রামের সকল পুরুষ মাথা ন্যাড়া করে দুর্গা মায়ের কাছে প্রায়শ্চিত্ত করল! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই ঘটেছে বাস্তবে। দুর্গাপুজো বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব হলেও নদিয়ার রানাঘাট কামালপুরে ১১২ ফুট দুꦺর্গাপুজো করা সম্ভব হল না প্রশাসনিক অসহযোগিতায় বলে অভিযোগ পুজো কমিটির। সারা পৃথিবীতে এত সনাতনী এবং উৎসব পালনের বাঙালি উন্মাদনা থাকা সত্ত্বেও সেটা করা সম্ভব হল না। তবে সব দোষ নিজেদের বলে স্বীকার করে নিয়ে মায়ের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করতে মাথা ন্যাড়া করে আজ মহানবমীর দিনে প্রায়শ্চিত্ত করলেন উদ্যোক্তারা।
এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় গোটা এলাকায়। দুর্গাপুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, ‘এটা তাদের কাছে লজ্জার। মা শুয়ে রয়েছে মাটিতে। মহালয়ার পর থেকে কাতারে কাতারে মানুষ এসে দেখেছেন। কিন্তু অদৃশ্য এক ভয়ের কারণে হয়তো একত্রিত প্রতিবাদ সংগঠিত হয়নি। তবে এতে প্রত্যেক বাঙালি মর্মাহত। অনুশোচনায় প্রত্যেক নদিয়াবাসী। কারণ যেখানে ইউনেস্কো দূর্গাপুজোর স্বীকৃতি দিয়েছে, সেখানে জেলা থেকে সকলের উদ্যোগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তকমা গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড হতো। যা রাজ্য এবং সমস্♍ত বাঙালির গর্ব। কিন্তু সেখানেও নানান অপ্রাসঙ্গিক বিষয় সামনে এনে বন্𝕴ধ করা হল দুর্গাপুজো।’
আরও পড়ুন: সিঁদুর খেলায় মাতলেন মহিলা সমিতির মহিলারা, আরজি কর কাণ্ড নিয়ে করলেন প্রার্থনা
তবে এই ঘটনা নিয়ে জেলাজুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। আয়োজকরা জানান, তারা একটি দুর্গা মন্দির তৈরি করতে চলেছেন এখানে। যেখানে সারা বাংলার মানুষ এসে বাধা প্রদানকারীদের সুবুদ্ধির প্রার্থনা করবেন দুর্গতিনাশীনির কাছে। এখানেই হয়ে উঠবে দেবী অপমানের কলঙ্কিত স্থান। যেখান থেকে মা দুর্গাই এসবের বিচার করবেন। তিনি আগামী দিনে যে পথে নিয়ে যাবেন, এলাকার মানুষজন যাবেন সেই পথেই। তবে সত্যের জয় হয় কিনা সেটা দেখার জন্য হয়তো সময় লাগবে। আজ, শনিবার সকাল থেকে সকলে মস্তক মুণ্ডন করতে শুরু করেন। যা প্রতিবাদের আর একটা ভাষা বলে জানাচ্ছেন উদ্যোক্তারা।