রাজ্যের তরফে লোকাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর আর্জি জানানো হয়েছিল। সেই অনুরোধ মেনে শিয়ালদহ ডিভিশনে ৪৫ শতাংশের মতো ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিল পূর্ব রেল। একইভাবে হাওড়া ডিভিশনে ২০২ টি ট্রেন চলবে। পূর্ব রেলর তরফে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বুধবার থেকে শিয়ালদহ ডিভিশনে মোট ৪১৩ টি ট্রেন চলবে। করোনাভাইরাসের আগে সেই সংখ্যাটা ছিল ৯১৫ টি। করোনা পরিস্থিতিতে শিয়ালদহ উত্তর বা মেন শাখায় (চক্ররেল মিলিয়ে) ২৭০ টি ট্রেন চলবে। তার মধ্যে আপ-ডাউন মিলিয়ে শিয়ালদহ-কৃষ্ণনগর সিটি লাইনে চলবে ২২ টি ট্রেন। শিয়ালদহ-নৈহাটির মধ্যে ২৪ টি ট্রেন চলাচল করবে। শিয়ালদহ-রানাঘাট-লালগোলা রুটে চলবে ১০ ট্রেন। তার মধ্যে দুটি মেমু হবে। শিয়ালদহ এবং শান্তিপুরের মধ্যে ১৪ টি ট্রেন, শিয়ালদহ এবং কল্যাণী সীমান্তের মধ্যে ১৪ টি ট্রেন, শিয়ালদহ এবং ব্যারাকপুরের মধ্যে ১৮ টি ট্রেন চলবে। শিয়ালদহ-রানাঘাটের মধ্যে চলবে ১৩ টি ট্রেন। শিয়ালদহ-রানাঘাট-গেদে লাইনে ট্রেনের সংখ্যা থাকবে ২৪। শিয়ালদহ এবং হাসনাবাদের মধ্যে চলবে ২৬ টি ট্রেন। শিয়ালদহ উত্তর শাখায় সবথেকে বেশি ট্রেন চলবে বনগাঁ লাইনে। সেখানে ৩৯ টি ট্রেন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও শিয়ালদহ-বারাসত-দত্তপুকুর লাইনে চলবে আটটি ট্রেন। রানাঘাট এবং বনগাঁর মধ্যে চলবে ১৭ টি ট্রেন। শিয়ালদহ-ডানকুনি-বারুইপাড়া লাইনে চলবে ৩২ টি ট্রেন। বনগাঁ-নৈহাটি-দমদম-মাঝেরহাট লাইনে চলবে বাকি সাতটি ট্রেন। শিয়ালদহ-বিবাদী বাগ শাখায় দুটি ট্রেন চলবে। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় আবার ১৪৩ টি ট্রেন চলবে। তার মধ্যে শিয়ালদহ এবং বজবজের মধ্যে চলবে ২৭ টি ট্রেন। শিয়ালদহ-ডায়মন্ড হারবার লাইনে ২৪ টি, শিয়ালদহ-নামখানা লাইনে ১৮ টি, শিয়ালদহ-সোনারপুর লাইনে ১৯ টি, শিয়ালদহ-বারুইপুর লাইনে ২১ টি এবং শিয়ালদহ-ক্যানিং ৩১ টি ট্রেন চলবে।অন্যদিকে, পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনে চলবে ৪০৭ টি ট্রেন চলত। বর্তমান পরিস্থিতিতে ২০২ টি ট্রেন চলবে। হাওড়া-ব্যান্ডেল লাইনে সবথেকে বেশি ৩৮ টি ট্রেন চলবে। হাওড়া-তারকেশ্বর-আরামবাগ-গোঘাট লাইনে চলবে ১১০ টি ট্রেন। হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনে চলবে ২০ টি ট্রেন। হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনে সেই সংখ্যাটা ২২। হাওড়া এবং কাটোয়ার মধ্যে চলবে ১২ টি ট্রেন। হাওড়া-তারকেশ্বের লাইনে চলবে ১৯ টি ট্রেন। হাওড়া-বারুইপাড়া লাইনে দুটি, হাওড়া-মাসাগ্রাম লাইনে চারটি, হাওড়া-হরিপাল লাইনে দুটি, হাওড়া-চন্দনপুর লাইনে দুটি, হাওড়া-পান্ডুয়া লাইনে দুটি এবং হাওড়া-গুড়াপ লাইনে দুটি ট্রেন চলবে। হাওড়া এবং শেওড়াফুলির মধ্যে ১৪ টি ট্রেন দেওয়া হয়েছে। হাওড়া এবং শ্রীরামপুরের মধ্যে সেই সংখ্যাটি ছয়। হাওড়া-বেলুড় মঠ লাইনে চারটি, হাওড়া-সিঙ্গুর লাইনে চারটি ট্রেন চলবে। এছাড়াও ব্যান্ডেল-কাটোয়া লাইনে চারটি, নৈহাটি-ব্যান্ডেল লাইনে ১৮ টি, বর্ধমান-কাটোয়া লাইনে আটটি, ব্যান্ডেল-পান্ডুয়া লাইনে একটি এবং ব্যান্ডেল-বালি লাইনে দুটি ট্রেন দেওয়া হয়েছে।পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, গত বছর ১ জুলাইয়ের সময়সারণী অনুযায়ী ট্রেন চলবে। এছাড়াও মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্বের বিধি পালন-সহ যাত্রীদের যাবতীয় করোনা সুরক্ষাবিধি মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছে রেল।