এগরার বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই বাজি কারখানা চালাত কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু। বাজি কারখানার মালিক সে নিজেই। এখানে রঙিন প্যারাডাইস, নানা রঙের তুবড়ি, গাছবোমা, ছুঁচোবাজি, রংমশাল, হাওয়াই থেকে ফানুস সবই তৈরি হতো। তবে অন্যদের থেকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় এবং এগিয়ে। যা দেখে অনেকে ঈর্ষনীয় হয়ে উঠত। এমনকী এই ভানু ‘খেল’ ভিন রাজ্যেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। গত তিন দশকে শতাধিক পুরষ্কার জিতেছিল ভানু। কিন্তু বাজির আড়ালে বোমা তৈরি করত বলেই এলাকাবাসীর দাবি। এটাই ছিল বাড়তি মুনাফার পথ। ভানুর ভাইও এসব বানাতে গিয়েই মারা গিয়েছিল। তারপরও বন্ধ 🔜হয়নি এই কারবার।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, বিস্ফোরণে ভানুর শরীরেও আঘাত লাগে। তবে পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়েছে বুঝতে পেরে স্ত্রীকে চম্পট দেয় ভানু। মোটরবাইকে করে ওড়িশা গা–ঢাকা দিয়েছে কৃষ্ণপদ ওরফে ভানু। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমি দেখেছি ভানুকে পালিয়ে যেতে। ওর শরীর পুড়ে গিয়েছে। মোটরবাইকে ⭕চারজন ছিল। একজন মহিলাও ছিল।’ এগরা–১ ব্লকের সাহারা গ্রাম পঞ্চায়েতের খাদিকুল গ্রামে ভানুর বাজি কারখানা। সেখানেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। কাজ করার সময়ই প্রাণ হারান ৯ শ্রমিক। আর তখন থেকেই প্রশ্ন উঠছে, কে এই ভানু?
অন্যদিকে বা♍মফ্রন্ট সরকারের জমানায় সিপিএম নেতা ছিল এই কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু। রাজ্যে পালাবদলের পর তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য হয়ে ওঠে ভানু বলে এলাকাবাসীর দাবি। ২০১৩ –২০১৮ সাল পর্যন্ত এখানের পঞ্চায়েত সদস্য ছিল এই কৃষ্ণপদ (ভানু)। আর বাম আমল থেকেই রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বাজি কারখানার জায়গা দখল করে কৃষ্ণপদ। বৈধ লাইসেন্স ছাড়⛄া বাজি কারখানা চালানোর অভিযোগে এই ভানুকে আগেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে আদালতে সে জামিন পেয়ে যায়। এরপর আবার লুকিয়ে এই বাজি কারখানা চালাতে শুরু করে সে।