হাতি কেমন দেখতে হয়? ? যাঁদের দৃষ্টি রয়েছে তাঁরা হয়তো চিড়িয়াখানায় ক🍒িংবা জঙ্গল সাফারিতে গিয়ে দূর থেকে দেখতে পান হাতিদের। বাচ্চারাও ছোটবেলায় চিড়িয়াখানায় 🃏হাতি দেখে আনন্দে লাফিয়ে ওঠে। কিন্তু যারা দৃষ্টিহীন তাদের কাছে গোটা পৃথিবীটাই অন্ধকারময়। চিড়িয়াখানায় হাতি দেখে উল্লাসে চিৎকার করার মতো পরিস্থিতি তাঁদের নেই। স্পর্শ করে তাঁরা বুঝতে পারেন কোনও বিষয়ের আকৃতি। কিন্তু দৃষ্টিহীনর হাতি চিনবেন কীভাবে?এবার সেই দৃষ্টিহীনদের হাতি চেনানোর জন্য় বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হল জলপাইগুড়ির প্রকৃতি পাঠ শিবিরে। ঠিক কীভাবে সম্ভব হল বিষয়টি?
সূত্রের খবর, শতাধিক দৃষ্টিহীন কিশোর, কিশোরীদের নিয়ে আসা হয়েছিল গরুমারাতে। তাদের মুখে খুশির ঝলক। চারপাশে সবুজ জঙ্গল। অপূর্ব সে রূপ। কিন্তু সেই রূপ তাঁরা দেখতে পান না। তবে অনুভূতিটা জানিয়ে দিয়েছিল, এই রূপ শুধু দেখার নয় অনুভব করার জন্য। তবে ওরা সকলেই ডুয়ার্সের সন্তান। তাঁদের কারো বাড়ি বড়দিঘি বস্তিতে, কারোর গয়েরকাটা আঙরাভাসা নদীর ধারে। কারোর আবার মাদারিহাটে। বন্ধুবান্ধব, পরিজনদের কাছে হাতির অনেক গল্প তারা শুনেছেন। মনে মনে ধারনাও ꧑জন্মেছে হাতি কেমন হয়। কিন্তু তবুও কোথাও যেন অসম্পূর্ণতা। তবে এবার সেই হাতি চেনানোর কর্মসূচি হাতে নিল ন্যাফ নামে প্রকৃতিপ্রেমী সংস্থা। শুধু হাতি নয়, এই প্রকৃতি পাঠ শিবির𒈔ে নদী. পাখি, গাছ সম্পর্কেও তাদের ধারনা দেওয়া হয়েছে। অত্যন্ত খুশি দৃষ্টিহীন কিশোর কিশোরী, তরুণ তরুণীরা। ফের তারা ফিরতে চান প্রকৃতির মাঝে। ফের তারা ফিরতে চান হাতি বন্ধুদের কাছে। হয়তো বলেই ফেললেন কেউ কেউ হাতি মেরা সাথী।
গরুমারাতে রয়েছে একাধিক কুনকি হাত𒊎ি। ফাল্গুনি, বর্ষণ, ডায়না, চম্পা, যুবরাজ। সুন্দর সুন্দর নাম ওদের। ওদের কাছেই গেল দৃষ্টিহীনরা। হাতির শুড় ছুঁয়ে দেখলেন ওরা। হাতির পায়ের কাছে গেলেন। এরপর একটু ছুঁয়ে দেখলেন। হাতির শরীর নাগালের মধ্যে। এর সঙ্গেই নানা প্রশ্ন তাঁদের? আচ্ছা ওদের বনে যেতে মন চায় না? হাতিরা কি রোজ স্নান করে? ওরা কী খায়? হাতিদের নিয়ে প্রবল উৎসাহ ওদের। তবে দৃষ্টিহীন তরুণী তরুণীদেরဣ যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিলেন গরুমারা অভয়ারণ্য়ের মাহুত দীনবন্ধু রায়। তিনি রোজ হাতিদের জীবনকে খুব কাছ 🧸থেকে দেখছেন। এদিন হাতিরা কীভাবে খায়, কীভাবে স্নান করে তার সঙ্গেও পরিচয় করানোর চেষ্টা করা হয় দৃষ্টিহীনদের।