আবার হাতির দল লোকালয়ে। আর তা দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কারণ ২০২৩ সালের প্রথম দিনেই জাতীয় সড়কের পাশে দেখা গেল হাতির দল। প্রথমে আতঙ্ক থাকলেও পড়ে তা কাটিয়ে উঠে মানুষ ভিড় জমান দেখতে। পিকনিকে যাঁরা এসেছিলেন সেইসব পর্যটকরা সেখানে ভিড় জমিয়ে দেন। বছরের প্রথম দিনে রাস্তার পাশে গজরাজের দল দেখে আপ্লুত 🐟হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষজন। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয় বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ দফতরের কর্মীদের।
ঠিক কী ঘটেছে বানারহাটে? রবিবার ১ জানুয়ারি সকালে রেতির জঙ্গল থেকে মোরাঘাট জঙ্গলে যাচ্ছিলেন বানারহাটের বাসিনꦑ্দা কার্তিক ওরাও নামে এক ব্যক্তি। তখন তিনি দেখতে পান, হিন্দি কলেজের পাশে পরিত্যক্ত এয়ারফিল্ডের ঝোপে শাবক–সহ ১৮টি হাতির একটি দল দাঁড়িয়ে রไয়েছে। এটা দেখে তিনি বুঝতে পারেন বিশ্রাম নিতে দাঁড়িয়ে আছে ওই হাতির দলটি।
তারপর কী ঘটল সেখানে? এই ঘটনা দেখে তিনি বন দফতরে খবর দেন। তখন সেই খবর পেয়ে বিন্নাগুড়ি বন দফত🧸রের কর্মীরা এসে হাতিগুলিকে জঙ্গলে ফেরাতে বাজি, পটকা এবং সাইরেন বাজায়। কিন্তু হাতির পাল জঙ্গলে যেতে নারাজ। হাতিদের জঙ্গলে ফেরাতে ব্যর্থ হয় বন দফতর। তখন পাহাড়া দিতে শুরু করে বন দফতরের কর্মীরা। সন্ধ্যায় ওই দলটিকে মোরাঘাট জঙ্গলে ফিরিয়ে দিতে সফল হয় 🌜বনদফতর।
ঠিক কী বলছে বনদফতর? এই পরিস্থিতিতে প্রচুর মানুষ দাঁড়িয়ে হাতির ছবি তোলেন। এই বিষয়ে বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রান শাখার রেঞ্জার শুভাশিস রায় বলেন, ‘সকালে অনেক চেষ্𒉰টার পরও হাতির দলকে জঙ্গলে ফেরানো যায়নি। এখানে একপাশে রয়েছে রাজ্য সড়ক, অন্য পাশে রয়েছে জাতীয় সড়ক। আর একটু এগোলে আলিপুর–শিলিগুড়ি রেলপথ। তাই সারাদিন হাতিগুলিকে জঙ্গলে দাঁড় করিয়ে রেখে সন্ধ্যার পর পাশেই মোরাঘাট জঙ্গলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’