আবার সক্রিয় ইডি। আজ, বড়দিন। আর এদিন সকালেই সক্রিয় হয়ে উঠল ইডি। তাই শুরু হয়েছে ধরপাকড়। আজ, সোমবার ইডির অফিসাররা কামারহাটি পুরসভার এক ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে হানা দেন। আর সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে নগদ ১৪ লক্ষ টাকা এবং ১ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা মূল্যের হিরে ও সোনার গয়না। এই বিপুল পরিমাণ সম্পদ দেখে চক্ষু চড়কগাছ অফিসারদের। কারণ একজন ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে এত বিপুল সম্পদ খুব সহজে আসা সম্ভব নয় তা বুঝতে পারছেন তদন্তকারীরা। তাই এই ꦓবিষয়টি সামনে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
এদিকে কামারহাটি পুরসভার ওই ইঞ্জিনিয়ারের নাম তমাল দত্ত। যাঁকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে, তাঁর এত সম্পদ আছে। খুব সাধারণভাবে থাকলেও কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার ভিতরে ভিতরে সম্পদ বানিয়ে ফেলেছিলেন। তিনি চাকরি পান ২০১৬ সালে। সুতরাং ৬ বছর আগে চা🤪করি পান কামারহাটি পুরসভায়। এই ৬ বছরে এত সম্পদ কেমন করে সম্ভব? উত্তর খুঁজছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসাররা। তাঁর নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিস মিলেছে বলে ইডি সূত্রে খবর। আজ তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালান ইডির গোয়েন্দারা। গত ৫ অক্টোবর তমাল দত্তের বাগুইআটির ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি।
অন্যদিকে এই বিপুল পরিমাণ সম্পদ বেআইনি পথেই হয়েছে বলে ইডি মনে করছেন। কারণ সম্পদ তৈরির সঙ্গে আয়ের সঙ্গতি নেই। তাছাড়া তেমন কোনও নথি দেখাতে পারেননি তমাল দত্ত। আজ এই ইঞ্জিনিয়ারের কামারহাটির বাড়িতে হাজির হয় ইডি। তারপর তল্লাশি চালানোর সময় তাঁর বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ এবং সোনা ও হিরের গয়না হাতে আসে। উদ্ধার হওয়া টাকার প✨রিমাণ সাড়ে ১৪ লক্ষ। আর সোনা ও হিরের গয়না মিলিয়ে বাজারমূল্🐟য ১ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা। ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে ১৩০০ পাতার সম্পত্তির নথি উদ্ধার হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: বউ পালা🦹ল প্রেমিকের সঙ্গে, পথের কাঁটা বাবাকে গাড়ি চাপা দিয়ে চম্পট মেয়ে বীরভূমে
আর কী জানা যাচ্ছে? বাড়ি দেখে বোঝার উপায় ছিল না এত পরিমাণ সম্পত্তি সেখানে লুকিয়ে র🅠াখা হয়েছে। তাছাড়া কেমন করে এত সম্পত্🍸তি ৬ বছরে বানালেন? যে প্রশ্নের উত্তর মেলেনি বলেই সূত্রের খবর। একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এত কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হলেন কী করে? উঠছে প্রশ্ন। এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চান ইডির অফিসাররা। এই বিপুল পরিমাণ টাকা এবং গয়না কোথা থেকে পেলেন? তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইডি। কোনও বড় দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর যোগ আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।