হাসপাতাল থেকে মুখে করে সদ্যোজাতকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে কুকুর - এরকম একটি ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। বাঁকুড়ার সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে সেই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হতে থাকে। যদিও সেই ছবিটা ভুয়ো বলে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হল। বিষয়টি নিয়ে বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার উপ-স্বাস্থ্য অধিকর্তা ১ মীনাক্ষী মাইতি দাবি করেছেন যে পুরোপুরি ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘বাচ্চাটাই যদি মিথ্যা হয়, তাহলে কুকুরটা কীভাবে সতꦓ্যি হবে? পুরো ছবিটা ফেক। বাচ্চা তো এক মাসে ঠিকমতো তৈরিই হয় না। যে ছবিটা দেখানো হচ্ছে, সেটা ১০ মাসের বাচ্চার। পরিবার যদি এরকম অভিযোগ করে, তাহলে কী বলব আমি?’
আর তিনি সেই কথাগুলো বলেন সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে। মুখে করে সদ্যোজাতকে কুক🌺ুর তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পেয়ে আজ সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে আসেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। খতিয়ে দেখেন পুরো পরিস্থিতি।
‘আমি ডাক্তার হিসেব অন্তত এটাই জানি’
তারপর বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার উপ-স্বাস্থ্য অধিকর্তা ১ দাবি করেছেন, যে মহিলার সন্তানকে কুকুর মুখে করে নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে, তিনি এক মাস আগে সাব-সেন্টারে কার্ড করিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘আমি ডাক্তার হিসেবে তো জানি না যে এক মাসের একটা বাচ্চা কীভাবে অত বড় হয়ে যেতে পারে। এক মাসের𒀰 ভ্রূণ তো রক্তের ঢ্যালা হবে। একদম ঢ্যালা হওয়ার কথা। কিন্তু এক মাসের প্রেগন্যান্সিতে বাচ্চা দেখা যাওয়ারই কথা নয়। আমি ডাক্তার হিসেব অন্তত এটাই জানি। অন্য কোনও ডাক্তার বললে ব💜লতে পারেন। তাহলে তাঁদের ইন্টারভিউ নিন।’
'পরিবার যদি অভিযোগ করে, তাহলে আমি কী করব?'
কিন্তু পরিবারের তরফে ত𝓡ো অভিযোগ করা হচ্ছে যে মহিলা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। সেটার জবাবে বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার উপ-স্বাস্থ্য অধিকর্তা ১-র বক্তব্য, 'সে পরিবার যদি অভিযোগ করে, তাহলে আমি কী করব? পরিবারের লোকজন তাহলে বলুক....।' সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, মহিলা বলেছেন যে তাঁর স্বামী বাইরে থাকেন। তাঁরা কিছু করেননি।
হাসপাতালে কোনও কুকুর দেখেননি!
শুধু তাই নয়, বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার উপ-স্বাস্থ্য অধিকরജ্তা ১ দাবি করেছেন, তিনি যতক্ষণ হাসপাতালে ছিলেন, ততক্ষণ কোনও কুকুরকে দেখতে পাননি। যদি কেউ কুকুর দেখে থাকেন, তাহলে উপর মহলে অভিযোগ জানাতে পারেন বলে পরামর্শ দিয়েছেন বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার উপ-স্বাস্থ্য অধিকর্তা ১। সেইসঙ্গে তাঁর দাবি, ডাক্তাররা তো এস𒀰ব কাজ করবেন না।