হাওড়ার ছাত্রনেতা আনিস খান খুনের ঘটনা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পরেও তদন্তে আস্থা রাখতে পারছে না পরিবার। আনিসের পরিবারের সদস্যরা সিবিআই তদন্তের দাবিতেই অনড় রয়েছেন। তাদের বক্তব্য, ‘পুলিশই যেখানে খুনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সেখানে পুলিশ দিয়ে তদন্ত করালে সত্যি ঘটনা কখনই বেরিয়ে আসবে না। তাই অবিলম♔্বে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত করতে হবে।’
আনিসের দাদা সাবির খান জানান, ‘আমাদের দিদির উপরে আস্থা রয়েছে। কিন্তু, পুলিশের উপরে আস্থা নেই। দিদি যদি সিট গঠন করে তদন্ত করতে চাইছেন, তা করুক তাতে আমাদের কোনই আপত্তি নেই। কিন্♒তু সিবিআই তদন্ত আমরা চাইছি। সিটে যারা থাকছেন তাঁরা সিবিআইয়ের সঙ্গে সহযোগিতা রেখে তদন্ত করুক।’ তিনি বলেন, ‘পুলিশ এসে আমার ভাইকে মেরে গিয়েছে। পুলিশের ভূমিকা আমরা দেখেছি। তাই পুলিশের ওপর আমরা আর ভরসা রাখতে পারছিনা।’ প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গঠন করার নির্দ💝েশ দিয়েছেন তার নেতৃত্বে থাকছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, ডিজির মত পদাধিকারীরা।
সাবির খান বলেন, ‘আমার ভাই কি করেছে, কি না করেছে তা আমরা আগে জানতাম না। তবে এখন সংবাদমাধ্যম মারফত বিভিন্ন তথ্য জানতে পারছি। সত্🥃যিই যদি আমার ভাইকে আগে হুমকি দেওয়া হয়েছিল তাহলে দিদি কেন আগে থেকে ব্যবস্থা নিলেন না? আগে ব্যবস্থা নিলে হয়তো আমার ভাইয়ের প্রাণ যেত না।’ অন্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনিসের পরিবারকে নবান্নে ডেকে পাঠিয়েছিলেন । কিন্তু, আনিসের বাবা শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ার পরে তারা নবান্ন যেতে পারেননি।
সাবির খান মুখ্যমন্ত্রীকে তার বাড়িতে গিয়ে দেখা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের নবান্নে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, বাবা অসুস্থ থাকায় আমরা নবান্ন♛ যেতে পারছিনা। মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি তিনি যেন আমাদের সঙ্গে দেখা করেন। উনি দেখা করলে আমাꩵদের পরিবারের লোকেরা গ্রামবাসীরা এবং আনিসের বন্ধুরা আশ্বস্ত হতে পারবেন।’
প্রসঙ্গত, সিটকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ൩সিট গঠনের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘আনিস খান ভালো ছেলে ছিল।তবে যেকোনও মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। ও আমাদের খুব ফেভারিট ছেলে ছিল। পরিবারকে বলব আপনারা বিশ্বাস রাখুন।’