ঠিক যেন গাছের পাতা। চিকিৎকরা বলছেন এগুলো পাতা নয়। এগুলো আসলে কৃমি বা পরজীবী জাতীয় (fluke or flatworm)। নদিয়ার গয়েশপুরের বাসিন্দা এক যুবতীর মাঝেমধ্যেই পেটে ব্যাথা হত ও তার সঙ্গ🐻ে ধূম জ্বর। জন্ডিসেরও লক্ষণ ছিল তার। কল্যাণীর জেএনএম ও মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। পরীক্ষা করে দেখা যায় তাঁর পিত্তনালীতে কিছুটা বাধা রয়েছে। এরপর পিত্তনালীর সঙ্গে খাদ্যনালী জুড়েꦇ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। আর তখনই তাঁরা দেখতে পান প্রায় তিন সেন্টিমিটার লম্বা ৬টি কৃমি রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে সচরাচর যে ধরনের কৃমি দেখা যায় এগুলি তেমনটা নয়। চিকিৎসকদের মতে কৃমিগুলির জন্যই পিত্তনালীর ওই জায়গায় সংক্রমণ হয়েছিল।
চিকি🌌ৎসকদের মতে এই কৃমির বিজ্ঞানসম্মত নাম ফেসিওয়ালা হেপাটিকা। এই কৃমিগুলিকে ডাক্তারি ছাত্রদের সুবিধার জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। তবে♊ এদেশে এই কৃমি বিশেষ পাওয়া যায় না। সেকারণে এর চিকিৎসা কীভাবে হবে তা নিয়েও সমস্যায় পড়েছিলেন চিকিৎসকরা। তবে আপাতত অন্য ওষুধ প্রয়োগ করে চিকিৎসা করা হয়েছে।
চিকিৎসকদের একাংশের মতে, চিকিৎসাশাস্ত্রের বইতে এই ধরনের কৃমির কথা উল্লেখ রয়েছে। সাধারণত চিন ও ইউরোপের দেশগুলিতে এই ধরনের কৃমি দেখা য🌜ায়। ভেড়া বা ছাগলের শরীরে এই ধরনের কৃমি বাসা বাঁধে। এরপর তা কাঁচা মাংস বা দুধের মাধ্যমে মানব শরীরে চলে আসতে পারে। তবে নদিয়ার যুবতীর শরীরে কীভাবে ওই কৃমি এল তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।