রাজভবনের দুটি চিঠিতে 'অপমানিত' এবং 'ভীত' রাজ্যের ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। তার জেরে বুধবার রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে যে ভার্চুয়াল বৈঠক আছে, তাতে না থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন উপাচার্যরা। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য গত ৭ জুলাই উপাচার্যদের চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তাতে উপাচার্যদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যুত্তরে উপাচার্যরা জানান, রাজ্যের নয়া বিধি অনুযায়ী সেই চিঠি উচ্চশিক্ষা দফতরের মাধ্যমে তাঁদের কাছে যাওয়ার কথা। তারইমধ্যে গত সোমবার এবং মঙ্গলবার রাজভবনের তরফে আরও দুটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্যরা। যা চূড়ান্ত 'অপমাজনক' এবং 'ভীতি প্রদর্শনকারী' বলে দাবি করেছেন তাঁরা।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপাচার্য পরিষদের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত ১৩ জুলাই মাননীয় আচার্যের কার্যালয় থেকে একটি অপমানজনক চিঠি (নম্বর ৩৫৮-এস) পেয়েছেন উপাচার্যরা এবং আবার ১৪ জুলাই একটি ভীতি প্রদর্শনকারী চিঠি পেয়েছেন। এরকম গুরুতর জাতীয় সংকটের সময় মাননীয় আচার্যের কার্যালয় থেকে এরকম বার্তা পাওয়া অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করছে উপাচার্য পরিষদ। নিয়ম মেনে যুক্তিযুক্তভাবে কাজ করা উপাচার্যরা মাননীয় আচার্যের কার্যালয় থেকে এরকম চিঠি পাওয়ার বিষয়টি একেবারেই কাম্য নয় বলে মনে করছেন।’পরে উপাচার্য পরিষদের সম্পাদক তথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজ্যপালের চিঠিতে যে ভাষার প্রয়োগ করা হয়েছে, তা উপাচার্য মর্যাদায় আঘাত হেনেছে। উচ্চশিক্ষা দফতরের মাধ্যমে আমন্ত্রণ না এলে আমাদের পক্ষে বৈঠকে উপস্থিত থাকা সম্ভবপর হবে না।’শিক্ষা মহলের মতে, এমনিতেই বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যপাল এবং রাজ্যের দ্বন্দ্ব লেগেই থাকে। উপাচার্যদের এই কড়া বিবৃতির পর সেই দ্বন্দ্বে নয়া মাত্রা যোগ হবে বলে মত পর্যবেক্ষকদের।