বীরভূমের বগটুই। বগটুই গণহত্যার পর থেকেই এই গ্রাম যেন ঠিক শাসকদলের কথায় চলছে না। বগটুইকাণ্ডের পর থেকেই বেসুরো গাইছেন অনেকেই। সংখ্যালঘুদের অনেকেই আবার বিজেপির মঞ্চে উঠে পড়ছেন। এনিয়ে একবার আফশোসও করেছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার সেই বগটুইকে বাগে আনতে আদা জল খেয়ে ময়দানে নেমে পড়লেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।সূত্রের খবর, বগটুই গ্রামের মসজিদে গিয়ে ল্যাপটপ দিয়ে এসেছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। রাজনৈতিক মহলের মতে, বগটুই কাণ্ডের পর থেকেই এলাকায় সংখ্যালঘুদের একাংশ তৃণমূলের দিক থেকে মুখ ফেরাতে শুরু করেন। এমনকী প্রকাশ্যেই তারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছিলেন। এমনকী বগটুইকাণ্ডের জেরে আত্মীয়দের হারিয়েছেন সেই মিহিলাল শেখ সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন বলেও খবর। তারপর থেকেই এলাকায় তৃণমূলের চাপ ক্রমশ বাড়তে থাকে।তবে সবথেকে বড় কথা বীরভূমের শেষ কথা বলে পরিচিত অনুব্রত মণ্ডল বর্তমানে তিহাড় জেলে। সেক্ষেত্রে তার অনুপস্থিতিতে বগটুই সামলানো তৃণমূলের কাছে বড় দায়। সেকারণে এবার সংখ্যালঘুদের মন জয়ে এগিয়ে এসেছেন ফিরহাদ। মূলত মসজিদের ইমামদের মন জয়ের মাধ্যমে ধসে পড়া ভোট ব্যাঙ্ককে ফের নিজেদের দিকে টানার মরিয়া চেষ্টা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের তেমনটাই মত।তবে সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে এই উদ্যোগ কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। তবে এবার অত্যন্ত হিসাব কষে ময়দানে নামছে তৃণমূল। সম্প্রতি বগটুইয়ের বর্ষপূর্তিতে তৃণমূলের সভামঞ্চে স্বজনহারাদের কাউকে দেখা যায়নি। এভাবে শাসকদলের কথা শুনবেন না সংখ্য়ালঘুরা এটা কিছুতেই মানতে পারছে না তৃণমূলের একাংশ। এনিয়ে অস্বস্তিও বাড়ছে ক্রমশ। সেকারণেই কি ল্য়াপটপ বিলি করে মন জয়ের চেষ্টা? তবে স্বজন হারিয়েছেন যারা তাদের চোখের জল কি আর ল্যাপটপ মোছাতে পারবে|? সব ভুলে তারা কি আবার মন থেকে ঘাসফুলে যেতে পারবেন? এই প্রশ্নটাও ঘুরছে বীরভূমের লাল মাটিতে। অঙ্ক মেলানোর চেষ্টা করছেন তৃণমূলের তাবড় নেতারাও।এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup