শান্তিনিকেতনে নাবা𒉰লিকা গণধর্ষণ কাণ্ডে চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বীরভূমের পাড়ুই থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পাড়ুই থানার বাদলো ডাঙা গ্রাম থেকে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। ধৃতেরা হল, সুনীল সোরেন ও লক্ষ্মীরান সোরেন। বাকি দু’জনের নাম জানা যায়নি। ধৃতদের আজ, সোমবার আদালতে তোলা হবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই অভিযুক্তদের স্কেচ আঁকানো হয়েছিল। তা ধরেই অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। অভিযুক্তদের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে সন্ধান পাওয়া যায়। অভিযুক্তদের প্রত্যেকের বাড়ি 𓆉পাড়ুই এলাকায়। এরা সবাই ঘটনার দিন চড়কের মেলা দেখতে গিয়েছিল। মেলার পাশে একটি মাঠ থেকে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়।
নির্যাতিতা পুলিশকে কী অভিযোগ জানিয়েছে? নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, মেয়েটি তার মায়ের সঙ্গে চড়কের মেলায় গিয়েছিল। সেখানে দু’জন বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তাদের সঙ্গে সে মাঠে গিয়েছিল। তখনই চারজন আসে এবং ওদের ধমকায়। তারপর ওদের কিছু দূরে টেনে নিয়ে যায়। নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যায় নদীর ফাঁকা চরে। সেখানে যৌন নির্যাতন করে তাকে ফেলে রেখে পালায়।
তবে নির্যাতিতা ও তার পরিবারের বয়ান অনুযায়ী সিআইডির স্পেশ্যাল স্কেচ আর্টিস্টরা অভিযুক্তদের স্কেচ তৈরি করে। সেই স্কেচ দেখার পর চারজনকে গ্রেফতার করা হয়৷ এদের জেরা করে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে🔯 বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য, রবিবার বোলপুরে যান রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়–সহ চারজনের একটি প্রতিনিধি দল। তাঁরা বোলপুরের সার্কিট হাউসে নির্যাতিতা আদিবাসী নাবালিকা এবং তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরে তাঁরা জেলাশাসক বিধান রায়, জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী–সহ আনান্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।