তবে কি রাজ্যে শীঘ্রই স্কুল খুলতে চলেছে? শিক্ষামন্ত্রী পার্থ🤡 চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যে সেই জল্পনা কিছুটা বাড়ল। তিনি জানালেন, রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকার যেদিন সিদ্ধান্ত নেবে, সেদিন থে🦂কেই স্কুল খোলা হবে।
করোনাভাইরাসের প্রকোপে গত মার্চ থেকে স্কুলে গিয়ে পঠনপাঠন বন্ধ রয়েছে বাংলায়। অনলাইনে ক্লাস হলেও স্কুলে পঠনপাঠন চালু করেনি রাজ্য সরকার। যদিও পড়শি অসম-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের স্কুলে ইতিমধ্যে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। আগামী সোমবার ত্রিপুরাতেও পঞ্চম শ্রেণি থেকে ক্লাস শুরু হতে চলেছে। বাংলায় করোনার প্রকোপ কিছুটা কম হওয়ায় বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনগুলি আবারও স্কুল চালু করার পক্ষে সওয়াল করছে। তারইমধ্যে রাজ্যে আবার করোন💙ার নয়া প্রজাতিতে আক্রান্ত দু'জনের হদিশ মিলেছে। তার জেরে একটি মহল থেকে তাড়াহুড়ো না করে পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কবে স্কুল খুলবে, তা নিয়ে সরকারের তরফে স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। সেই ধোঁয়াশা না কাটলেও শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ বলেন, ‘জীবাণু মুক্তির কাজ সর্বপ্রথম। কোন রাজ্যে কী হচ্ছে, তা জেনে তো আমার লাভ নেই। আমাদের রাজ্যে পঠনপাঠন চালিয়ে যেতে হবে। অন্যদিকে স্বাস্থ্য যে সুরক্ষিত থাকবে, তারও ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে যাতে নিয়মিত পঠনপাঠন করা যায়, তার প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে জীবাণু মুক্তির কাজ। সেই জীবাণু মুক্তির কাজ ইতিমধ্যে বিভাগীয় স্তরে সকলকে বলা হয়েছে। তারা শুরু করেছে। তারপর সরকার যেদিনไ সিদ্ধান্ত নেবে, সেদিন থেকেই আমরা কার্যকর করব।’
কয়েকটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, 𝔉স্কুল খোলা হলে কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে, সেই সংক্রান্ত খসড়া নির্দেশিকা ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে গিয়েছে। তাতে একটি ক্লাসে কতজন পড়ুয়া বসবে, কীভাবে পড়ুয়াদের স্কুলে যেতে হবে, সেই সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।