এবার নিজেদের জমিতে চাষবাস করতে গিয়ে হাতির আক্রমণের মুখে পড়লেন দু’জন কৃষক। আর তার জেরে ভালরকম আহত হলেন ওই দুই কৃষক। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তাঁরা ভয়ে চিৎকার করতে থাকেন। ওই দুই কৃষকের বাড়ি গজলডোবায়। এই দু’জন কৃষক আবার সম্পর্কে কাকা–ভাইপো। তাঁরা সকালে জমিতে গিয়ে আলু চাষের কাজ করছিলেন। আর তᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚখনই একটি বুনো হাতি এসে তাঁদের আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা বন দফতর পর্যন্ত পৌঁছেছে। এই ঘটনা চাউর হতেই তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়।
বন দফতরের কর্মীরা পর্যন্ত খবর পেয়ে এখানে আসেন। আহত দু’জন কৃষকরা হলেন, পরিমল মণ্ডল এবং অপু মণ্ডল। এই দুই কৃষকের বাড়ি মাল ব্লকের গজলডোবার সাত নম্বর কলোনির কাটাঘর এলাকায়। আর আজ শনিবার হাতির আক্রমণে আহত হন তাঁরা। গজলডোবার ওই সাত নম্বর কলোনি এলাকার কৃষিজমিতে ওঁরা𝓰 আলু চাষ করেন। ওই জমির পাশেই ছোট একটা ঘর বানিয়ে তাঁরা প্রত্যেকদিন জমির আলু পাহারা দিতেন। এদিনও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। কিন্তু জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে ওই বুনো হাতি কৃষিজমিতে চলে আসে। সেখানে ওই দুই কৃষককে দেখতে পেয়ে সজোরে ধাক্কা দেয়। তাতে তাঁরা ছিটকে গিয়ে অন্য প্রান্তে পড়েন।
আরও পড়ুন: সিবিএসই পরীক্ষার্থী ভুল পরীক্ষাকেন্দ্রে যান, গ্রিন করিডর করে পৌঁছে দিল কলকাতা পুলিশ
সকালবেলাতেই এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে সেটা তাঁরা কল্পনাও করেননি। আজ আপালচাঁদ জঙ্গল থেকে একটি মাকনা হাতি এসে হঠাৎ ওই গুদাম ঘরটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। তখন ঘরের মধ্যে থাকা দু’জন কৃষকই আলু তুলে রাখছিলেন। ওই হাতির দাপটে তাঁরা গুরুতর আহত হন। তাঁদের একধাক্কায় অন্যত্র পাঠিয়ে দেয় হাতিটি। হাতির আঘাতে মারাত্মক আঘাত 𓆉লাগে ওই দুই কৃষকের। আর তাঁদের চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজনরা ছুটে আসেন। দ্রুত তাঁদের বাঁচাতে তাড়া করা হয় হাতিকে। মানুষের জমায়েত দেখে গজরা জঙ্গলে পালিয়ে যায়।
তখন ওই দুই কৃষককে তড়িঘড়ি উদ্দার করে মালবাজার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। সেখানে আঘাত দেখে চিকিৎসা করা হয়। সেখানেই দু’জন কৃষক ভর্তি আছেন। কারণ তাঁদের এই ট্রমা কাটেনি। চিকিৎসা চলছে দু’জনের। কাঠ ও প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি গুদাম ঘরটি বাড়ির পাশেই থাকায় বড় ধরনের কোনও বিপদ ঘটেনি। কারণ, সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির লোকজন দৌড়ে আসতে পারায় হাতি ছেড়ে পালিয়েছে। না হলে তাঁদের পিষেই মেরে দিত বলে আশঙ্কা সকলের। এই বিষয়ে বন দফতরের রেঞ্জার কুণাল বর্মণ বলেন, ‘দু’জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সরকারি ꦬনিয়মে বন দফতরের পক্ষ থেকে চিকিৎসা করা হচ্ছে। আপালচাঁদ জঙ্গল থেকে হাতি এসে এই এলাকায় আলুর জমিতে হানা দিয়েছিল।’