নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আয়ের থেকে সঙ্গতিহীন একের পর এক সম্পত্তির হদিশ মিলছে তার। অভিযোগ শা▨ন্তনুই নাকি চাকরির দর ঠিক করতেন। এনিয়ে অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে। বাসিন্দাদের দাবি, প্রথম জীবনে মোবাইলের সিম বেচতেন শান্তনু। পরে বাবার মৃত্যুর পরে বিদ্যুৎ দফতরে চাকরি পান। আর তারপরেই একেবারে রকেট গতিতে উত্থান। কিছুদিনের মধ্য়ে জেলা যুব তৃণমূলের শীর্ষনেতার পদে উঠে পড়েন তিনি। আর স্থানীয়দের দাবি, রাজনীতির ক্ষেত্রে যতই উত্থান হয়েছে তার, ততই প্রতিপত্তি আর সম্পত্তিও বেড়েছে শান্তনু। সেই শান্তনুর গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুললেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী।
তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানিয়েছেন, তাকে গ্রেফতারি করা মানেই যে অপরাধী এমনটা কিন্🌟তু নয়। এমন হাজার হাজার কেস দেখা যায়, কিছুদিন পরে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে ছাড়া পেয়ে যায়। একটা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে। কতটা সত্যতা আছে তা আমিও জানি না। আপনিও জানেন না। আমাদের বিচার ব্যবস্থার দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে…গান্ধীজিও তো গ্রেফতার হয়েছিলেন। গ্রেফতারি হওয়াটা বড় কথা নয়🎃। সেটা নিয়ে আমরা কিছু ভাবছি না।
দল কি শান্তনুর পাশে থাকবে? বিধায়কের উত্তর, থাকা না থাকাটা বড় কথা নয়। তাকে নির্দোষ প্রমাণ হয়ে আসতে হবে। তাহলে দল সসম্মানে বরণ করে নেবে। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত না তিনি🐻 নির্দোষ প্রমাণিত না হচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত তার লড়াই তাকেই লড়তে হবে।
এর সঙ্গেই তিনি বলেন, একটি মিথ্য়ে কথা যদি ৫০জনকে বলা হয় তবে কিছু মানুষ বিশ্বাসﷺ করে ফেলবে। আমাদের প্রতিপক্ষরা আমাদের গায়ে কাদা ছেটানোর চেষ্টা করবে। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, আমাদের জিরাট কলেজে একটা মনোমালিন্য় হয়েছিল। ওখানে শান্তনু ব্যানার্জির ছবি সরিয়ে দিয়েছিলাম। বলেꦰছিলাম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেবলমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ছবি থাকবে। সেই থেকে অতটা ভালো সম্পর্ক ছিল না। শেষ দুর্গাপুজোর বিসর্জনের ঘাটে দেখা হয়েছিল। কী ছিল কী ছিল না সেটা জানি না। দলের একজন নেতা ছিলেন। চুঁচুড়াতে একটা মিটিং হয়েছিল। উঠে এসে পাশের চেয়ারে বসলেন। বড় বড় নেতারা নীচে বসেছিলেন। তখন জানলাম স্বাস্থ্য কর্মাধক্ষ। কোন পদটা বড়, কোন পদটা ছোট সেটা বোঝা সম্ভব হয়নি।