পুরাণ অনুযায়ী সত্য–ক্রেতা–দ্বাপর–কলি— এই চার যুগের মধ্যে দ্বাপর যুগের শ্রেষ্ঠ পীঠস্থান কুরুক্ষেত্র। আর কলি যুগের শ্রেষ্ঠ পীঠস্থান গঙ্গা এবং বঙ্গোপসাগর ও গঙ্গা যেখানে মিলিত হয় বঙ্গোপসাগরের সেই মিলনস্থল গঙ্গাসাগর। যা পূর্ণ তীর্থে পরিণত হয়। আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা। এই মেলায় যোগ দেন নাগাসাধুরা। ইতিমধ্যেই তাঁরা গঙ্গাসাগরে পৌঁছে গিয়েছেন। আজ, বৃহস্পতিবার একদল নাগাসাধু বাবুঘাট থেকে গঙ্গসাগরের দিকে রওনা🌟 দেন বলে খবর। এবার তাঁদের কাছে এসে পৌঁছেছে রামমন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্র। যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে আর কিছুদিন পর মকর সংক্রান্তি। তাই পণ্য স্নান সারতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সন্ন্যাসীরা এসে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন এই গঙ্গাসাগরের তীর্থে। আর এবার রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্র পেলেন গঙ্গাসাগর মেলার সাধু সন্ন্যাসীরা। যা নিয়ে তাঁরা বেশ চ💝মকে গিয়েছেন। কপিলমুনি আশ্রমের পাশে স্থায়ী আখড়াতে বসেছেন তাঁরা। আর সেখানেই এসে পৌঁছেছে রামমন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্র। একইসঙ্গে এসে পৌঁছেছে অযোধ্যার প্রসাদি চাল। গঙ্গাসাগর মেলায় এসে এমন ঘটনা ঘটবে তা ভাবতে পারেননি সাধুরা। তবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ৬০টি দেশে হিন্দু সমাজের কাছে এ🅺ই চিঠি পৌঁছে দেবেন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে বলে সূত্রের খবর।
অন্যদ⛄িকে ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে গঙ্গাসাগর মেলায় আসা সাধু–সন্ন্যাসীদের হাতে এসে পৌঁছল অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্র। আমন্ত্রণপত্র পেয়ে খুশি গঙ্গাসাগর মেলায় আসা সাধু–সন্ন্যাসীরা। ওইদিন দেশ–বিদেশের লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী অযোধ্যায় উপস্থিত থাকবেন। আর সেখানেই এবার নাগা সাধু–সন্ন্যাসীদের আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। তবে এটা যে ঘটতে চলেছে তা সাধুরা কল্পনাও করতে পারেননি।
আরও পড়ুন: ‘আজ রাতে হোক ডিম–পাউরুটি’, ‘প্🦩রজাপতি’ ছবির গানের প্যারোডি সিপিএমের থিম সং
এছাড়া গঙ্গাসাগর মেলাকে নিয়ে যেমন রয়েছে হিন্দুদের একাধিক পৌরাণিক কাহিনী, ঠিক তেমনই হিন্দুদের অন্যতম পীঠস্থা𓆉ন অযোধ্যার রাম মন্দির। আর এগুলি একে অপরের সঙ্গে যেন অঙ্গাঙ্গিকভাবে যুক্ত। এই রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্র পেয়ে খুশি গঙ্গাসাগরের সাধু সন্ন্যাসীরা। কিন্তু তারা সেই অযোধ্যায় গিয়ে পৌঁছতে পারবে কিনা তা নিয়ে অনেকটাই সন্দেহ রয়েছে। তবে এমন আমন্ত্রণপত্র তাঁদের কাছে এসেছে বলে জানাচ্ছেন সাধু সন্ন্যাসীরা। এই🎃 বিষয়ে নাগাসাধুদের দল জানান, গঙ্গাসাগর মেলা শেষ হবে ১৭ জানুয়ারি। আর মেলা শেষ হলেই অযোধ্যার উদ্দেশ্যে রওড়া দেবেন।