হাড়হিম ঘটনা ঘটল দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ❀প্রেমিকাকে বাড়ি থেকে বাগানে ডেকে নিয়ে যায় প্রেমিক। তারপর সেখানে নির্যাতিতাকে গণধর্ষণের পর গলা টিপে খুন করল অভিযুক্তরা। আর খুনের পর প্রমাণ লোপাট করতে দেহ ফেলে দেওয়া হল জলাশয়ে। দুদিন নিখোঁজ থাকার পর রবিবার উদ্ধার হয় তরুণীর মৃতদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানা এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ইতিমধ্যেই তরুণীকে গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ জানিয়েছে পরিবার। তার ভিত্তিতে পুলিশ নির্যাতিতার প্রেমিক সহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে বিয়েবাড়ি থেকে চা বাগানে তুলে নিয়ে গিয়ে নাবাꦡলিকাকে 📖গণধর্ষণ, ধৃত ৫
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয় অজয় মণ্ডল নামে এক যুবকের। অজয়ের বাড়ি বারুইপুরের মদনপুরে। অন্যদিকে, নির্যাতিতার বাড়ি নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়। তবে অভিযুক্তের বাড়ির কাছাকাছি ꦡমামার বাড়ি রয়েছে নির্যাতিতার। সেখানে বেশ কয়েকমাস ধরে তিনি থাকছিলেন। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে ৮টা নাগাদ বাড়ি থেকে অজয় তাকে ফোন করে একটি বাগানে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে অজয় ছাড়াও ত🧸ার আরও বেশ কয়েকজন বন্ধু ছিল। তখন তারা সকলে মিলে নির্যাতিতাকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
এদিকে, সেই ঘটনার পর থেকেই ২ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন নির্যাতিতা। ইতিমধ্যেই পর๊িবারের তরফে থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। পরিবারের দাবি, ওই দিন রাত্রি ১১টার পর নির্যাতিতার ফোন বন্ধ হয়ে যায়। এখনও ফোন পাওয়া যায়নি। অবশেষে রবিবার মামার বাড়ির কাছাকাছি একটি জলাশয়ে নির্যাতিতার দেহ ভাসতে দেখেন এলাকার কিছু মানুষ। পুলিশকে খবর খবর দেওয়া হলে তারা এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।এই ঘটনায় বারুইপুর থানা☂য় গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ নির্যাতিতার প্রেমিক অজয় সহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত অজয় এলাকায় খারাপ ছেলে হিসেবেই পরিচিত। এলাকার মহিলাদের কটুক্তি করত সে।নির্যাতিত অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন। ঘটনায় শাস্তির 🗹দাবি জানিয়েছেন তার মামা সহ স্থানীয় মানুষজন। স্থানীয় মহিলাদের দাবি, এদের ছেড়ে দিলে আবার এদের লালসার শিকার হবে অন্য কোনও মেয়ে। তাই তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত। পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে, গত ১লা জুন দিদিমার🅠 সঙ্গে মামাবাড়ি এসেছিলেন তরুণী। তারপর থেকে মামার বাড়িতেই ছিলেন। ঘটনায় আরও তদন্ত করছে পুলিশ।