প্রমোদ গিরি
প্রায় দু’দশক পর পাহাড়ে অনুষ্ঠিত হবে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর এর আগে ফের একবার পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে দিল্লির ಞদরবারে যেতে চাইছে পাহাড়ের দলগুলি। গত তিনটি লোকসভা নির্বাচনে পরপর বিজেপিকে সমর্থন জানিয়ে জিততে সমর্থন করেছিল বিমল গুরুঙের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে সমর্থন জানানোর কথা জানিয়েছিলেন𓂃 বিমল গুরুঙ। তবে ফের একবার পৃথক রাজ্যের দাবিতে দিল্লির কাছে দরবার করতে চাইছেন তিনি। অপরদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পাহাড়ে প্রায় নিষ্ক্রিয় বিমলের দল।
এদিকে পৃথক রাজ্যের দাবিতে দেশজুড়ে গোর্খাদের একত্রিত করার উদ্দেশে আন্দোলন করার পর🌌িকল্পনা করছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। এই আবহে বিমল বলেন, ‘যৌথ নেতৃত্বের মাধ্যমে গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার সময় এসেছে। এর জন্য একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা দরকার। ১০ এবং ১১ ডিসেম্বর দিল্লিতে যে প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছে তাতে আমরা সেই লাইনে কাজ করব।’ উল্লেখ্য, ২০০৭ সাল থেকে গুরুঙই পৃথক গোর্খাল্যান্ডের আন্দোলন শুরু করেছিলেন। তবে ২০১৭ সালে পুলিশকর্মী খুনের পর পাহাড় ছেড়েছিলেন বিমল গুরুঙ। তার আগে ১০৪ দিন দীর্ঘ ধর্মঘটে পাহাড় জুড়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থনের ঘোষণা করে পাহাড়ে ফিরেছিলেন গুরুঙ।
এদিকে অরাজনৈতিক সংগঠন ‘স্টেটহুড ডিমান্ড কোঅর্ডিনেশন কমিটি’ (এসডিসিসি) গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবি গোর্খাদের জন্য একটি পৃথক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে সমাবেশের আয়োজন করার পরিকল্পনা করছে। এসডিসিসি -র প্রধান সমন্বয়কারী প্রভাকর দেওয়ান বলেছেন, ‘আমরা একটি জাতীয় স্তরের কমিটি গঠন করছি এবং আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে রাজনৈতিক দলগুলি পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। এখন অরাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে এক প্লাটফর্মের অধীনে এই আন্দোলনের দায়িত্ব নেওয়া🌺র সময় এসেছে।’