রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায়ই পথ দুর্ঘটনা ঘটছে। রাজ্য পরিবহণ দফতরের পরিসংখ্যান বলছে অধিকাংশ পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে বেপরোয়া বাইক চালানোর ফলে। সেই সংখ্যাটা হল প্রায় ৬০ শতাংশ। আবার এদের মধ্যে অনেকেই তরুণ বাইক চালক। তাই বাইক চালকদের নিয়ন্ত্রণে আনতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। এর জন্য কলেজগুলিতে সেফটি ক্লাব চালু করা হবে।ꦜ এই ক্লাবের মাধ্যমে তরুণ বাইকারদের সতর্ক করা হবে।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ বাইক দুর্ঘটনা, কেটে বাদ গেল অ𝕴ভিনেতার একটা পা
পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজগুলিতে যে সেফটি ক্লাব তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে তাতে থাকবেন একজন প্রশিক্ষক। এছাড়াও꧑, থাকবেন কলেজের অধ্যাপক, ট্রাফিক পুলিশ এবং মোটর ভেহিকেল ইন্সপেক্টররা। এই ক্লাবে তারা পথ নিরাপত্তা বিষয়টি নিয়ে পড়ুয়াদের পাঠ দেবেন। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি কলেজ চিহ্নিত করেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। সম্প্রতি শহরে এবং জেলায় বেশ কয়েকটি পথ দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। যে ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বেপরোয়া বাইক চালানোর ফলেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাতে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে স্কুল পড়ুয়াও রয়েছে। তারপরেই তরুণ বাইক চালকদের পথ নিরাপত্তা সম্পর্কে পাঠ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। আবার সম্প্রতি বেহালায় স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যুর পরে পথ নিরাপত্তা নিয়ে পড়ুয়াদের আরও সচেতন করছে পুলিশ। সে ক্ষেত্রে রাস্তা পার হওয়া থেকে শুরু করে সাইকেল চালানোর নিয়ম পড়ুয়াদের শেখাতে শুরু করেছে পুলিশ। আর এবার পথ নিরাপত্তার জন্য বাইক চালকদের পাঠ দিতে উদ্যোগী হয়েছে পরিবহণ দফতর। এর ফলে পথ দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, পথ দুর্ঘটনা কমানোর জন্য তথ্যভাণ্ডার তৈরি করছে রাজ্য সরকার। এর জন্য চারটি দফতর একসঙ্গে কাজ করছে। পরিবহণ, পুলিশ, পূর্ত দফতর এবং স্বাস্থ্য দফতর যৌথভাবে এই ডেটাবেস তৈরি করছে। কোথায় দুর্ঘটনা ঘটেছে? কারণ কী? দুর্ঘটনার ধরন, দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা কত জন? এলাকাটি দুর্ঘটনা প্রবণ কিনা এই সমস্ত বিষয়ে এই তথ্যভাণ্ডা তৈরি করা হচ্ছে। এর জন্য প্রতিটি দফতর আলাদাভাবে কাজ করছে। পরিবহণ দফতর সে ক্ষেত্রে গাড়ির সিএফ এবং অন্যান্য নথি ঠিক আছে কি না দেখছে। কোথায় দুর্ঘটনা ঘটেছিল? কেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল বা কার গাফিলতি ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পূর্ত দফতর রাস্তার অবস্থ💛া ঠিক রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে স্বাস্থ্য দফতর দেখছে দুর্ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়েছে বা কেউ আহত হয়েছে কিনা। ফলে দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে পরিবহণ দফতর। মার্চ মাস থ🍷েকে এই কাজ শুরু হয়েছে।