কলকাতায় ফিরে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পথে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া মেটানোর দাবিতে আটকে গেল তাঁর গাড়ি। কারণ রাস্তার দু’পাশে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন মহিলারা। তাঁদের দাবি, আগে ১০০ দিনের বকেয়া মজুরির ব্যবস্থা করুন রাজ্যপাল। বা𓃲সন্তী হাইওয়ে ধরে তাঁর যাওয়ার পথে রাজবাড়ি, সরবেড়িয়া, আকুঞ্জি পাড়া, মিনাখাঁ–সহ একাধিক জায়গায় প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন মহিলারা। তুমুল বিক্ষোভে সরগরম হয়ে ওঠে এলাকা। তবে পুলিশ গাড়ি বের করে দিতে তৎপর হয়। তবে কালো পতাকা, প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তার ধারে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা। তার ফলে বেশ কিছুক্ষণ আটকে পড়েন রাজ্যপাল।
এদিকে এই প্ল্যাকার্ডে ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনার বকেয়া টাকা কেন দেওয়া হচ্ছে না? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। তার জেরে অবরোধ বিক্ষোভে বাসন্তী হাইওয়েতে বামনপুকুর বাজারের কাছে রাজ্যপালের কনভয় বেশ কিছুক্ষণ আটকে পরে। তৎক্ষণাৎ পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ। বিক্ষোভরত মহিলাদের হটিয়ে দেওয়া হয়। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কনভয় আবার রওয়া হয় সন্দেশখালি রওনা হয়। বিক্ষোভ করার সময় রাজ্যপালের কনভয়ের স🅘ামনে চলে যান 🉐মহিলারা। যার জেরে আনন্দ বোসের কনভয় থেমে যায়। পাঁচ মিনিট রাস্তায় আটকেও ছিল কনভয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে বেরিয়ে যান রাজ্যপাল।
অন্যদিকে আজ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে সন্দেশখালি যাচ্ছেন বিজেপি বিধায়করা। ইতিমধ্যেই সেখানে গিয়েছেন রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরাও। বেলা ১২টা নাগাদ ধামাখালি পৌঁছন রাজ্যপাল। সেখানে অল্প বিরতি নেন। আজ, সোমবা♓র যে তিনি সন্দেশখালির পরিস্থিতি দেখতে যাবেন সেটা রবিবার রাতেই জানান রাজ্যপাল। তবে সন্দেশখালি যাওয়ার আগে কলকাতায় বলেন, ‘কেরলের গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছেড়ে এসেছি। সন্দেশখলিতে আমার নজর ছিল। আজ নিজে যাচ্ছি। সরেজমিনে পরিদর্শন করব।’ সন্দেশখালি কাণ্ডে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে পদক্ষেপ করার জন্য ২৪ ঘণ্টা🌱 সময়সীমা বেঁধে দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার পরেই রবিবার কেরল সফর কাটছাঁট করে রাজ্যে ফিরে সন্দেশখালি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারি মাসেই অমিত শাহের বাংলা সফর, বড় পরিকল্𝔉পনা নিয়ে এ꧃গোচ্ছে বিজেপি
এছাড়া গ্রামবাসীদের অবরোধের মুখে রাজ্যপালের কনভয় পড়তেই তিনি ক্ষোভ বুঝতে পারেন। বেশ কিছুক্ষণ আটকে ছিলেন রাজ্যপাল। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে সেখান থেকে নিরাপদে বেরিয়ে যায় রাজ্যপালের কনভয়। রাজ্য সরকারের থেকে সবিস্তার রিপোর্টও তলব করেছেন রাজ্যপাল। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে। সন্দেশখালির🍌 ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ্𒉰য ভিজিল্যান্স কমিশনারেরও আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।