পূর্ব বর্ধমান জেলার গুসকরা কলেজ। এই কলেজের অধ্যক্ষের প্যাড, স্ট্যাম্প এবং সই পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছে। কীসের জন্য? কলেজ ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে। সেই চিঠি প্রকাশ্যে চলে আসায় ঢি ঢি পড়ে গিয়েছে কলেজ ক্যাম্পাসে। এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ওই চিঠি। যদিও বিষয়টিকে পাত্তা দিচ্ছেন না ছাত্রী। ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ফেলল এক ছাত্র। তাও গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের প্যাডে লিখে। শুধু তাই নয়, ওই ছাত্রীর প্রেমে পড়া প্রাক্তনীর পড়াশোনা উঠেছে লাটে। মন বসছে না ছাত্রের। আর তাই ছাত্রীকে চিঠি কলেজের অধ্যক্ষের! সেখানে অনুরোধ, কলেজের প্রাক্তন ছাত্রের প্রেমের আবেদন যেন ভেবে দেখেন ছাত্রী। না হলে ভবিষ্যৎ নষ্ট হবে ছেলেটির। অথচ কিছুই জানেন না অধ্যক্ষ🎶।
এদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষুব্ধ অধ্যক𒉰্ষ পুলিশের দ্বারস্থ হচ্ছেন। চিঠির বয়ান অনুযায়ী, পঞ্চম সেমিস্টারের এক ছাত্রীর প্রেমে পড়েছে ওই প্রাক্তন ছাত্র। ছাত্রী তাঁকে পাত্তা না দেওয়ায় ওই ছাত্রের পড়াশোনায় মন বসছে না। চিঠিতে ছাত্ဣরীর কাছে আর্জি জানানো হয়েছে, কিছু একটা পদক্ষেপ করার জন্য। যাতে ছাত্রটি ঠিক মতো পড়াশোনা করতে পারেন। কলেজের প্যাডের উপরে লেখা, ‘বিশেষ বিজ্ঞপ্তি/ আবেদন।’ তার পর লেখা, ‘গুসকরা মহাবিদ্যালয়ে পাঠরত পঞ্চম সিমেস্টারের ছাত্রীকে জানানো যাচ্ছে যে, কিছুদিন ধরে আমাদের মহাবিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন ছাত্র আপনার প্রেমে পড়েছে। কিন্তু আপনি কোনও সদুত্তর না দেওয়ার ফলে তিনি পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছেন না।’
অন্যদিকে এখন প্রশ্ন, এক ছাত্র কেমন করে অধ্যক্ষের প্যাড বা স্ট্যাম্প ব্যবহার করতে পারল? সে বিষয়ে জবাব দিতে হবে কলেজকে। কেউ বলছেন খুবই ন্যক্কারজনক ঘটনা। যদি🤪ও মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুদীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। পুলিশের কাছে জানিয়েছি। পুলিশ তদন্ত করুক।’ প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, অধ্যক্ষের পক্ষ থেকে দেওয়া পুরনো কোনও নোটিশকে সুকৌশলে স্ক্যান করে তারপর তা ব্যবহার করা হয়েছে। তবে ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা আছে সেটা এখনও জানা যায়নি। ছাত্রীর উদ্দেশে লেখা হয়েছে চিঠিতে, ‘আপনার কাছে একান্ত অনুরোধ, আপনি কিছু একটা করুন, যাতে আমাদের ছাত্রের ভবিষ্যতে কোনও সমস্যা না হয় এবং ঠিক করে পড়াশোনা করতে পারে।’
আরও পড়ুন: সান্তা বনাম হীꦿরকরানি, তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপির সাইবার যুদ্ধে সরগরম রাজনীতি
এছাড়া গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের প্যাড ব্যবহার করে কেউ এমন ‘প্রেমপত্র’ লিখতে পারে ত🍸া কল্পনার অতীত। তবে এতে মজা পেয়েছেন অনেকে। কারণ এটা অভিনব পন্থা। ছাত্রী অবশ্য এই নিয়ে কোনও কথা বলতেই চাইছেন না। চিঠির কথা শুনলে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠছেন। এই নিয়ে পরিবারেও আলোচনা শুরু হয়েছে। ছাত্রীকে কলেজে পাঠানো নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। কারণ যে ছাত্র এটা করতে পারে সে তো সব কিছুই করতে পারে।