সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তাই সব রাজনৈতিক দলই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে♏ছে। এই অবস্থায় পাহাড়ে নানারকম ছক সামনে চলে আসছে। দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা জিএনএলএফ নেতা মন ঘিসিংকে সঙ্গে নিয়ে নয়াদিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করলেন। আর ঠিক তার পরদিন শিলিগুড়িতে বিজেপির কর্মসূচিতে প্রাক্তন বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রীংলা হাজির হলেন। আর তাতেই প্রশ্ন উঠে যায়, দার্জিলিং থেকে লোকসভা নির্বাচনে কি বিজেপি প্রার্থী হচ্ছেন শ্রীংলা? প্রশ্নের উত্তর ভাববাচ্যে দিয়েছেন হর্ষবর্ধন শ্রীংলা।
এদিকে দু’দিন আগেই কার্শিয়াংয়ের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা দাবি করেন, এই লোকসভা নির্বাচনে স্থানীয় কাউকে প্রার্থী করতে হবে। পাহাড়ের ‘ভূমিপুত্র’ কাউকেই প্রার্থী হিসাবে চান বিষ্ণুপ্রসাদ। বিজেপি বিধায়ক এভাবে প্রকাশ্যে মুখ খোলায় খুব অসন্তুষ্ট পড়েছে বঙ্গ–বিজেপি নেতৃত্ব। এমনকী র🐎াজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কড়া ভাষায় বলে দিয়েছেন, দল ঠিক করবে কাকে প্রার্থী করবে। দলের নিয়মশৃঙ্খলা কেউ না মানল🉐ে তাঁকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে। তবে বিষ্ণুপ্রসাদের দাবির পরই হঠাৎ শিলিগুড়ি শহরে হাজির হলেন পাহাড়ের ‘ভূমিপুত্র’ হর্ষবর্ধন শ্রীংলা। বিজেপি বিধায়কের ‘ভূমিপুত্র’ প্রার্থীর দাবি আর শ্রীংলার এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। অন্য কোনও সমীকরণ আছে? উঠছে প্রশ্ন।
অন্যদিকে শিলিগুড়ির কলেজ ময়দানে চায়ে পে চর্চায় যোগ দেন শ্রীংলা। এমনকী সামনেই তাঁর আরও কর্মসূচি রয়েছে বলে বিজেপি কর্মীদের জানিয়ে দেন তিনি। দলের পক্ষ থেকে সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতের সঙ্গে নানা দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন শ্রীংলা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন। বাংলাদেশে, থাইল্যান্ডে কাজ করেছেন। এই হর্ষবর্ধন শ্রীংলার ছোটবেলা কেটেছে পাহাড়ে। তাঁর পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে পাহাড়ের সঙ্গে। ২০২৩ সালের দুর্গাপুজোর আগে দার🍎্জিলিং এবং ডুয়ার্সের বেশ কিছু সামাজিক কাজের সঙ্গেও যুক্ত থাকতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এবার কি পদ্মপ্রার্থী হচ্ছেন তিনি? উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: ‘তাঁর মতাদর্শ যেন সকলে মেনে চলেন’, স্বা🌸মীজিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে প🍌রামর্শ অভিষেকের
তবে প্রাক্তন আমলা নিজের প্রার্থী হওয়া নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি। কিন্তু দার্জিলিংয়ের মানুষ নিজেদের ভূমিপুত্রকে চান বলে জল্পনা জিইয়ে রেখে যান। শ্রীংলার কথায়, ‘ಌআমি আমাদের এই জেলার বাসিন্দা। শিলিগুড়িতেও আমার বাড়ি আছে। আমি এই এলাকার মানুষের মানসিকতা জানি। এখানকার মানুষের মনে ভূমিপুত্রদের প্রতি আস্থা বেশি। দেশের সেবা করেছি বহুদিন। এখন আমি চাই দার্জিলিং–শিলিগুড়িতে ফিরে এসে লোকজনের সঙ্গে সমন্বয় করতে। এখানে থাকারও পরিকল্পনা রয়েছে আমার।’