মধ্যশিক্ষা পর্ষদ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় এগিয়ে নিয়ে এসেছে। তাতে আপত্তি রয়েছ🐽ে বহু শিক্ষকের। আবার মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের দশম শ্রেণির চূড়ান্ত পরীক্ষা এগিয়ে আসা নিয়ে আসা হয়েছে। তা নিয়ে স༒োশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় তুলেছেন অনেকেই। রাজ্যের একাধিক শিক্ষক সমিতি এই বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা দফতরে চিঠি লিখেছেন। তাঁদের আর্জি, পড়ুয়া জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক। সেখানে পরীক্ষা ৯.৪৫ মিনির পরিবর্তে অফিস টাইম পেরিয়ে পৌনে ১২টায় শুরু হলেই ভাল হয়। এমনকী মাদ্রাসা পরীক্ষাও পিছিয়ে দেওয়া হোক।
এদিকে এই নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। জানুয়ারি মাস এখন শেষের পথে। ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ায় মাধ্যমিক পরীক্ষা। উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা শুরুর সময়ও একইভাবে এগিয়ে আনা হয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তা স্পষ্ট করেছে। তবে দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষার সময় এগিয়ে আসায় আশায় একই দিনে একাধিক স্কুলে একাদশের পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। উচ্চমাধ্যম🐼িক পরীক্ষা প্রথমার্ধে হয়ে গেলে সে দিনই দ্বিতীয়ার্ধে একাদশের বার্ষিক পরীক্ষা করে নিতে চায় বহু স্কুল। এই বছর একাদশের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরির দায়িত্বও স্কুলের উপর ছেড়েছে সংসদ।
অন্যদিকে একাদশের পরীক্ষা একই দিনে করতে চেয়ে একাধিক স্কুল ইতিমধ্যে🐽ই প্রশ্নপত্র তৈরি করে ফেলেছে বলে সূত্রের খবর। এই বিষয়ে উত্তর ২৪ পরগনার দক্ষিণ চাতরা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণাংশু মিশ্র বলেন, ‘একাদশের বার্ষিক পরীক্ষা উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয়ার্ধে করতে চাই। কারণ এই বছর লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। ফলে একাদশের পড়ুয়ারা দ্বাদশে উঠে সিলেবাস শেষ করার পর্যাপ্ত সময় পেয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: পানীয় জলের জ🔴ন্য কি এবার টাকা দিতে হবে? মিটার বসতেই আতঙ্কে হুগলির মানুষজন
এছাড়া কলকাতার সরকারি স্কুলেও এই পরিবেশ তৈরি হয়েছে। মিত্র ইনস্টিটিউশনের (ভবানীপুর) প্রধান শিক্ষক রাজা দে’র মতে, ‘উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা এগিয়ে আসায় আমরা একইদিনই দ্ব෴িতীয়ার্ধে একাদশের পরীক্ষা নেব।’ শ্যামবাজার পার্ক ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় পাঁজা বলেন, ‘অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক ডেকে আলোচনা করা হবে। একইদিনে সকালে উচ্চমাধ্যমিক দুপুরে একাদশের বার্ষিক পরীক্ষার সুযোগ তৈরি হয়েছে।’ তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, ‘সময় এগিয়ে আনার বিষয়টি সংসদ খোলসা না করলেও সময়ে একাদশের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।’